মুক্তকথা সংগ্রহ।। দুনিয়ায় কি হচ্ছে এসব! মানুষ কি দিন দিন পাগল হয়ে যাচ্ছে? না-কি মনুষ্যত্ব হারানোর সূচনা এসব কর্মকাণ্ড! করোণা মহামারীতে সারা বিশ্ব যখন টাল-মাটাল ভয়ার্ত, ভারতে তার প্রতিষেধক হিসেবে কত রকমের ঔষধের পাশে গো-চেনা’কেও রাখা হয়েছে। গো-চেনা’কে ঔষধ হিসেবে প্রকাশ্য বাজারে বিক্রি আজ থেকে নয় সে তো বছর তিনেক আগেরই ঘটনা। এখন আবার বলা হচ্ছে গোচেনা করোণা মোকাবেলায় মোক্ষম ঔষধ! ভারতে যখন এসব চলছে তখন বাংলাদেশে একপক্ষ ইসলাম ধর্মীয় রাজনৈতিক গুণীজন প্রকাশ্যে মানববন্ধন করে ঘোষণা করেছেন করোণা ছোঁয়াছে রোগ নয়। করোণা মহামারীও নয়। ২ ফুট দূরত্ব রক্ষা করে মসজিদে নামাজ পড়াকে ইসলামের বিরুদ্ধে ওহাবীদের হটকারী সিদ্ধান্ত। প্রকাশ্যে তারা এসব নিয়মকানুনের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে আলাপ করতে গিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে এক রাজনৈতিক নেতা বললেন, আরে ভাই- করোণা মহামারী হিসেবে যতটুকু নয় তার চেয়েও বেশী সরগুল করে প্রচার করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য করোণা’র এ সুযোগে পশ্চিমা ও মার্কিনীদের হাওয়াই ব্যবসাকে করোণা’র ভয় দেখিয়ে মানুষকে গেলানু! দুনিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য একচেটিয়াভাবে হাতিয়ে নেয়ার বিশ্ব ধনিকগুষ্ঠীর এটি একটি নয়া অপকৌশল মাত্র। দেখেন না, করোণা ভয়ে মানুষ ঘরের বাইরে যেতে না পেরে বাধ্য হয়ে হাওয়াই আদেশে খাবার কিনে খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। আমাজনের হাওয়াই ব্যবসার ঠেলায় পড়ে ছোট ছোট ব্যবসা তো বটেই, কত বড় বড় ব্যবসা পর্যন্ত ঘরে উঠে যাচ্ছে। ঘরে বসে হাওয়াই ব্যবসার আমাজন বাজার কেমন রমরমা দেখেন না?
এতো গেলো একজনের কথা। আজ আবার একটি প্রখ্যাত অনলাইনে দেখলাম আমেরিকার উত্তর ক্যারোলিনায় মাকড়সা’র বার্গার মানুষকে খাওয়ানোর জন্য উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। মানুষ জাতি সর্বভুক শুনেছিলাম। ছোটবেলায় দাদী-নানীর কাছে গল্প-কেচ্ছায় এমনও শুনেছিলাম যে দুনিয়াতে রাক্ষস বলে যে শব্দটি ব্যবহার হয় তা মূলতঃ মানুষই। মানুষই অতীতে রাক্ষস-খোক্ষস ছিল। সত্যি সত্যি মানুষ মানুষকে খেয়ে ফেলতে পারে। কোন এক সময় দুনিয়ার নামী-দামী হোটেলে নরমাংসের হাড়-গোড় পাওয়ারও খবর এই আধুনিক যুগের মানুষ হয়ে আমরাও শুনেছি বা পড়েছি। কিন্তু এই সর্বভুগের নমুনা যদি এই হয় তা’হলে এ অবস্থাকে কি শব্দ দিয়ে ভাবে প্রকাশ করা যায় আমার জানা নেই।
মাকড়সা’র বার্গারের এ খবরটি প্রকাশ করেছে ভারতের অনলাইন নীলকণ্ঠ। তাদের খবর থেকে জানা গেছে, আমেরিকার উত্তর ক্যারোলিনায় প্রতি বছর ৪এপ্রিল থেকে পুরো একমাস চলে খাদ্য উৎসব। অদ্ভুত অদ্ভুত প্রাণির মাংসকে অদ্ভুত নমুনায় খাদ্যের তালিকায় তুলে আনা হয় ভোজনবিলাসী মানুষজনের রসনা তৃপ্তির জন্য। পাশাপাশি বিস্ময়ে হতবাক করে দেবার জন্যও! তারই ফলস্বরূপ এবার ওই নতুন তালিকায় আসবে টারান্টুলা মাকড়সা’র বার্গার! টারান্টুলা মাকড়সা অতি বিষাক্ত আর লোমশ। সেখানকার মানুষ এই মাকড়সাটিকে যমদূতের মত ভয় পায়। অথচ সর্বভুক মানুষের নতুন খাদ্য তালিকায় এবারের এপ্রিলে সে আসবে খাদ্য হয়ে। কেমন শুনায়, বমি করতে ইচ্ছে করছে না? মানুষ সত্যি মনুষ্যত্ব হারাতে শুরু করেছে। সংগ্রাহক-হারুনূর রশীদ। ছবি ও তথ্যসূত্র: নীলকন্ঠ অনলাইন