মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিকারের সরঞ্জামসহ ১২টি টিয়া পাখি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। সোমবার (৩০ অক্টোবর) উপজেলার রাজকান্দি রেঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গোপন সংবাদ পেয়ে আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আবদাল হোসেন এলাকার বিভিন্ন শিকারীর কাছ থেকে এগুলো উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন। পরে সোমবার সকালে বনবিভাগকে খবর দিলে রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম ও বন্যপ্রাণী বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ টিয়াপাখিগুলো উদ্ধার করে লাউয়াছড়া বন্যপ্রাণী রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে।
আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: আবদাল হোসেন জানান, আদমপুর ইউনিয়নের কালেঞ্জী, কোনাগাঁও, পূর্ব জালালপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের শিকারীর বাড়ি থেকে তিনি এগুলো উদ্ধার করেন। তবে এ সময় শিকারী কাউকে পাওয়া যায়নি।
বন্যপ্রাণী বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, টিয়াপাখি গুলো ছোট থাকায় ও পায়ে রশির দাগ থাকায় লাউয়াছড়া বন্যপ্রাণী রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে। পাখিগুলো সুস্থ হলে ও উড়াল শিখলে অবমুক্ত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশজুড়ে ৬ষ্ঠ পর্বে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জসহ আরো ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ৬ষ্ঠ ধাপে এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের আদমপুর সড়কের পাশেই কামারগাঁও গ্রামে নির্মিত তিন তলা বিশিষ্ট এ দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কমলগঞ্জ অংশে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, পুলিশ সুপার মো: মনজুর রহমান, পিপিএম(বার), উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ রফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ জুয়েল আহমেদ, কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মুনিম তরফদারসহ সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও সাংবাদিকবৃন্দ।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের অর্থায়নে ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাস্তবায়নে নির্মিত ২৯ হাজার ৬০০ বর্গফুট এরিয়ার তিন তলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদের চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। মডেল মসজিদটিতে রয়েছে নিরাপত্তার জন্য সিকিউরিটি গার্ড রুম, গাড়ি পার্কিং জোন। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যও রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ অজু ও নামাজ আদায়ের আলাদা ব্যবস্থা। ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরি, দাফনের আগের আনুষ্ঠানিকতা, কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা রয়েছে।