1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর জোনাল অফিস মৌলভীবাজার - মুক্তকথা
রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ অপরাহ্ন

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর জোনাল অফিস মৌলভীবাজার

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ৫৩২ পড়া হয়েছে

ইংল্যান্ড থেকে লিখছেন দিপু কোরেশী।।

কোন এক সময় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলা ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট নামে সিলেট জোন অফিসের আওতায় অর্ন্তভূক্ত ছিল। ১৯৯৪ সালে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলা নিয়ে মৌলভীবাজার জোনাল অফিস তৈরি হয়। ২০০২ সালে ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট নাম বদল করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর নাম করণ করা হয়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জোনাল অফিস কর্তৃক মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় ২টি পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় ২টি জেলা শিক্ষা অফিস ভবন, ২টি অডিটরিয়াম, ছাত্রী নিবাস, একাডেমিক ভবন, বিজ্ঞাণ ভবন, এক্সামিনেশন হল, সরকারী বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা সমূহে একাডেমিক ভবন এবং হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় ২টি জেলা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ  ওয়ার্কসপ ভবন সহ বিভিন্ন ভবন নির্মান করা হয়েছে। প্রতি বছরই এই দুই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন, প্রতিষ্ঠান প্রধানের বাস ভবন মেরামত ও সংস্কার এবং আসবাবপত্র সরবরাহ সহ সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত উন্নয়ন মূলক কাজ করা হয়ে থাকে।
মৌলভীবাজারে জোনাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিস ভবন নির্মাণে জটিলতা
উন্নত রাষ্ট্র গঠন করতে সবার আগে শিক্ষিত জাতির কোন বিকল্প নেই। আর শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে উন্নত মানের এবং যুগোপযোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত জরুরী। তাই শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির উন্নয়ন, নির্মাণ, সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এবং প্রতি বছর বাজেটেও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের জন্য বিরাট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। মৌলভীবাজারে একটি জোনাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিস ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত এবং অর্থ বরাদ্দ অনেক আগেই হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় মাত্র বিশ শতক জায়গার অভাবে সেই ভবনটি নির্মাণ মৌলভীবাজারে হবে কিনা তা এখন অনিশ্চিত! ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসন, জন প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সেই ভবন নির্মাণে মৌলভীবাজারের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের জায়গায় যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তা সেই স্কুলের ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকদের ন্যায্য দাবির মুখে বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া যেখানে শহরের জনসংখ্যা, যানজট প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে শহরের এই কেন্দ্র স্হলে এমন ভবন নির্মাণ যৌক্তিক নয় বলে অনেকেই মনে করেন। সচেতন মহলের প্রশ্ন হলো মাত্র বিশ শতক জায়গার কি শহরে এতোই অভাব? নাকি আমাদের শহর অভিভাবকদের উদাসীনতা?
অনেকেই অবাক হচ্ছেন আমাদের মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, শহর অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা এবং সমন্বয়ের অভাবে জেলায় স্থায়ী  শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিস ভবন নির্মাণ করতে মাত্র *বিশ শতক* জায়গা পেতে ইতিমধ্যে *দুই বছর* পেরিয়ে গেছে! একি ভাবে বিগত দিনে সরকারের ঘোষিত প্রতিটি জেলা শহরে একটি করে সরকারি মেডিকেল কলেজ হবিগঞ্জ বাসি তাদের শহরে বাস্তবায়ন করে নিয়েছিল আমাদের শহর অভিভাবকদের ঘুমন্ত রেখেই! তখন সরকারি মেডিকেল কলেজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সচেতন মৌলভীবাজার বাসি বিভিন্ন মাধ্যমে সোচ্চার হয়ে জোড় দাবি তুলে ছিলেন এবং সমগ্র মৌলভীবাজার বাসিকে সজাগ করে এ দাবির সাথে যুক্ত করেছিলেন। এখনও যখন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিস ভবন নির্মাণ কোন অজানা ইশারায় আমাদের হাত ছাড়া হয়ে হবিগঞ্জ শহরে চলে যাচ্ছে বলে গুজব শুনা যাচ্ছে ঠিক তখনই আবার সেই প্রবাসীরাই সোচ্চার হয়ে আমাদের শহর অভিভাবকদের সজাগ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাই সকলের প্রত্যাশা জেলা প্রশাসন সহ আমাদের শহর অভিভাবকরা প্রবাসী মৌলভীবাজার বাসির দাবি কর্ণপাত করে একটু সজাগ হবেন। কারণ মৌলভীবাজার শহরে স্থায়ী  এই ভবন নির্মাণ করা হলে অনেক কর্মসংস্থানসহ শহরের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক হবে, শহরবাসী উপকৃত হবেন। সাথে সাথে শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী স্কুল *মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের* আমার মতো হাজারো সাবেক ছাত্রদের প্রানের দাবি অদূর ভবিষ্যতে সরকারের ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যালয়টি কলেজে উত্তীর্ণ হলে যাতে এটি পর্যাপ্ত জায়গা সংকটে না পরে সে জন্য অপরিকল্পিত, হঠকারী পদক্ষেপ এমনকি লোলুপ দৃষ্টি ঐ স্কুলের জায়গা থেকে সরিয়ে শহরের অন্য কোন খানে অথবা শহরের বাইরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (Education Engineering Department) অফিস ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, শহর অভিভাবকগন দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT