মুক্তকথা, লন্ডন: বেশ সপ্তাহ কয়েক আগে ফেইচবুকার সাইফুদ্দীন আহম্মদ নান্নু তার ফেইচবুকে এই খবরটি দিয়েছিলেন। তিনি একটি সুন্দর শিরোনাম দিয়ে খবরটি ছেপেছিলেন। লিখেছিলেন- “কোথায় চলেছি আমরা?”। যদিও শেষ চৈত্রের খবর ছিল এটা। বৈশাখ পাড় হয়ে এখন জ্যৈষ্ঠ মাসে এসে সে খবর নিয়ে নাড়া-চাড়া সময়োপযোগীতো নয়ই বরং অহেতুক সময় নষ্ট বলে অনেকেই মনে করবেন। তাদের এই মনে করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কেউ এমন মনে করতেই পারেন। পুরানো একটি বিষয় নিয়ে উঁকিদেয়ার আমাদের একটিই কারণ, কি মাত্রায় দায়ীত্বহীন বেওকুপ আমরা হতে পারি তার স্বরূপটা পুনঃ তুলে ধরা। সাইফুদ্দীন আহমদ নান্নু খুব খেদ মিশিয়ে লিখেছিলেন-“যতটুকু বুঝতে পেরেছি বাসটি সম্ভবত ঢাকা কলেজের। কতখানি কাণ্ডজ্ঞানহীন হলে রাজধানীর জলমগ্ন পথে এমন বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো যায়। গাড়ির ধাক্কায় সৃষ্ট জলের ঢেউ বিপর্যস্ত করেছে হাঁটু সমান জলে টেনে চলা রিক্সা, রিক্সাযাত্রীদের, পাশের প্রাইভেট কার, নারী শিশুসহ পথচারীদের। উৎকট উল্লাসে অন্যের জীবন বিপন্ন করে একটি ঐতিহ্যবাহী কলেজের বাস এমন করে রাজধানীর পথে চলতে পারে তা চিন্তা করাও কষ্টকর।
এমনওতো হতে পারতো বাসটির চাকা আটকে যেতে পারতো কোন ম্যানহোলের উঁচু করে রাখা ঢাকনায় কিংবা পড়ে যেতে পারতো কোন গর্তে। ঘটতে পারতো ভয়ংকর দুর্ঘটনা। উন্মাদগ্রস্থ বাসচালক আর শিক্ষার্থীরা নিজেদের কথাও ভাবলো না!
অদ্ভুত !!!
কোথায় চলেছি আমরা ?”
বাসটিকে খুব লক্ষ্য করে ভিডিওটি দেখলে দেখাযায় চলতি গাড়ী থেকে সৃষ্ট পানির ঢেউ থেকে বাঁচতে গিয়ে কিছু রিক্সা, বেবিটেক্সি ও মানুষজনকে মরণোন্মুখ হয়ে রাস্তার পাশ নিতে হচ্ছে। অন্যদিকে পানির মাঝে দ্রুতগতিতে চলমান ওই গাড়ীর ভেতরের মানুষজনের আনন্দোল্লাসী চিৎকার আমাদের অনার্য্য জংলি মনেরই পরিচয় দেয়। আমরা বুঝতে চাই না আমাদের এমনধর্মী আনন্দোল্লাস অন্যের জীবন কেড়ে নিতে পারে! বিস্মিত হতে হয়, মন বিশ্বাস করতে চায় না যে ঢাকা কলেজের পড়ুয়ারা এমন হতে পারে! প্রশ্ন আসতে কি পারে না, এ কেমন উদ্ভট মানসিকতার শিক্ষা নিয়ে বড় হচ্ছে আমাদের নব প্রজন্ম?