1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
শ্রীমঙ্গল-কুলাউড়ার ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথেই পর্যটকদের ভয় - মুক্তকথা
রবিবার, ০২ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
প্রবাসে বাঙ্গালী… শ্রীমঙ্গল-কুলাউড়ার ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথেই পর্যটকদের ভয় ভ্রমনপিপাসুদের উপচে পড়া ভিড়ে কমলগঞ্জ জামায়াত নেতার উপর দুষ্কৃতিকারীদের অতর্কিত হামলা এ সপ্তাহের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল আগুন লাগিয়ে লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনের কয়েক একর ভূমি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে অনগ্রসর শব্দকর জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবী প্রবাসী সংবর্ধনা, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মশালা প্রয়াত পিতার দান করা জায়গায় প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজস্ব থিয়েটার স্টুডিও ‘নাটমন্ডপ’ পাবলিক লাইব্রেরি ও শিশু উদ্যান দখলমুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

শ্রীমঙ্গল-কুলাউড়ার ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথেই পর্যটকদের ভয়

কুলাউড়া সংবাদদাতা॥
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫
  • ১০ পড়া হয়েছে

সিলেট-আখাউড়া রেলপথের করুণ দশা

ভ্রমণকারীদের সংখ্যা সহস্রগুণ বেড়েছে কিন্তু শতবর্ষী এ রেলপথের কোন উন্নতি হয়নি

ভ্রমণকারীদের বেশী ভয় কুলাউড়া-শ্রীমঙ্গলের ঝুঁকিপূর্ণ এ রেলপথ


সংস্কারের অভাবে দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে কুলাউড়া-শমশেরনগর-ভানুগাছ-শ্রীমঙ্গল হয়ে আখাউড়া পর্যন্ত রেল পথ। কুলাউড়া থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত ৪১ থেকে ৪২ কিলোমিটার রেলপথে কমপক্ষে আট থেকে দশটি সেতু খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

অন্তর্জাল খুঁজে যতটুকু জানা যায়, আসাম থেকে মালামাল পরিবহনের সুবিধার জন্য আসাম ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ১৮৯৮ সালে কুলাউড়া জংশন ও আখাউড়া জংশন হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করা হয়। খুবই স্বাভাবিক কারণেই আজ থেকে প্রায় ১২৬ বছর আগে তৈরি এ রেলপথ এখন প্রায় সবটাই জরাজীর্ণ, জীবনের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এমতাবস্থায় সিলেট-আখাউড়া রেলপথের কুলাউড়া-শ্রীমঙ্গল অংশে বছরজুড়েই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড় থাকে। আর যাতায়াতের ক্ষেত্রে এসকল ভ্রমণপিপাসু মানুষের একমাত্র ভরসা সড়কপথ বা রেলপথ। দেশের সড়কপথ অনেকটাই বিপদসংকুল আর সারা বছর জুড়েই লেগে থাকে অপ্রীতিকর ঘটনাসমূহ। ফলে সড়কপথ নিরাপদও নয় ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য। আর তাই, ভ্রমণকারীদের পছন্দের পরিবহনের তালিকায় প্রথমেই উঠে আসে রেলপথ। এমনিতেই সংস্কারের অভাবে দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে এ যাতায়াত পথ এর সাথে নতুন নতুন ভ্রমণকারীদের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে এ রেলপথকে আরো বেশী ঝুঁকিময় করে তুলেছে। কুলাউড়া থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত কমপক্ষে আট থেকে দশটি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এ ছাড়া রেললাইন থেকে প্রতিনিয়তই চুরি হচ্ছে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ।

রেল লাইনের টুকটাক দৈনন্দিন মেরামত কাজ করা হলেও নতুন রেললাইন নির্মাণ বা বড় ধরনের মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে এ অঞ্চলে ঘুরে বেড়ানো ভ্রমণকারীদের যাতায়াত ব্যবস্থায় যারপর নাই ভোগান্তি পোহাতে হয়।

বিশেষ করে সিলেট থেকে শায়েস্তাগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ পথের বহু জায়গাতেই রেল ধীরগতিতে চলে। আবার কোথাও কোথায়ও দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছের মাঝামাঝি লাউয়াছড়া বনে প্রায় সময়ই থেমে থাকে ট্রেন। মৌলভীবাজার জেলায় বরাবরই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্রমনকারীরা আসেন। কিন্তু রেলপথের ত্রুটির কারণে ট্রেনের নিরাপদ যাত্রাও অনেক সময় ঝুঁকিময় হয়ে উঠে।

শতবর্ষী জড়াজীর্ণ কুলাউড়া জংশন।

দৈনন্দিন যাতায়াতকারী কিছু যাত্রীর অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায়, সিলেট-আখাউড়া রেলপথের শ্রীমঙ্গল থেকে কুলাউড়া পর্যন্ত ৮ থেকে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু রয়েছে। এ জেলায় কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, হামহাম জলপ্রপাত, শ্রীমঙ্গলের চা বাগান, চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, বড়লেখার মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে আসা ভ্রমণকারীরা এ রেলপথেই বেশি ভ্রমণ করেন। অথচ সেই ব্রিটিশ আমলে সোয়াশত বর্ষ আগে তৈরি হওয়া রেল লাইনের নির্মাণের পর আজ অবদি বড় ধরনের কোনো সংস্কার হয়নি। ফলে দিন দিন যাতায়াতের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।

এ ছাড়া শ্রীমঙ্গল, ভানুগাছ, শমশেরনগর, মনু, টিলাগাঁও, লংলা, বরমচাল ও কুলাউড়া স্টেশনের মাঝে অনেক স্থানে ক্লিপ-হুক ও নাট-বোল্ট নেই। আরও অনেক যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার পরও লাগানো হয় না বলে অভিযোগ আছে। ২০১৮ সালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সেতু ভেঙে ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হয়। গত বছরও লাউয়াছড়ায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে কয়েকটি বগি উল্টে যায়। রেলপথ ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় এভাবে লাউয়াছড়া উদ্যানের পাহাড়ি এলাকায় নিয়মিত ট্রেন আটকা পড়ে।

দৈনন্দিন রেলপথ ব্যবহারকারী একজন যাত্রীর কথা উল্লেখ করা যায়। তিনি তার অভিজ্ঞতার কথা এভাবেই ব্যক্ত করেন-“সোয়াশত বছরের পুরোনো রেল লাইন কেবল মেরামত করেই চালানো হচ্ছে। অথচ এ লাইনে রেলের আয় সহস্রকোটী টাকা। আয়ের এবিশাল অর্থের অতি ক্ষুদ্রাংশও রেলের উন্নয়নে খরচ করা হয় না। আয়ের সবটুকুই লুটেপুটে খাওয়া হয়।”

রেলওয়ের কুলাউড়া জংশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে, তারা যতটুকু সম্ভব রেললাইন নিরাপদ রাখার চেষ্টা করে যান। মাঝেমধ্যে নাট-বোল্ট, ক্লিপ চুরি হলেও আবার লাগানো হয়।

এদিকে, শ্রীমঙ্গল রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাইফুল্লাহ বলেছেন, শতবর্ষী পুরানো সেতুগুলো মেরামত করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব ক’টি সেতুই মেরামত করা হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT