কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় গর্ভবতীসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতরা কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। রোববার সন্ধ্যায় সাপ্তাহিক কমলগঞ্জের কাগজ পত্রিকার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার সুবিচার দাবী করেছেন আক্রান্তরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অমর মালাকারের স্ত্রী পলি মালাকার বলেন, রহিমপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের উমেশ মালাকারের ছেলে অমর মালাকার একজন সহায় সম্বলহীন অসহায় মানুষ। তিনি কোন রকম দিনানিপাত করছেন। দীর্ঘ দিন থেকে একই এলাকার নিখিল মালাকার, করুনা দাশ, রাজেন্দ্র মালাকারের সাথে তাদের ভুমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজ ২য় আদালতে মোকদ্দমা নং-৭৫/২০২০ ইং(স্বত্ব বাটোয়ারা) এবং জুনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট আদালত, মৌলভীবাজারে সিআর মামলানং-২৩৯/২০২০ইং (কমলগঞ্জ) চলমান। মামলা দায়েরের পর থেকে বিবাদীগণ অমর মালাকারকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় তাদের জান মালের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গত ২৫ সেপ্টেম্বর কমলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী নং-১১৪৩/২০২০ করা হয়। এর ধারবাহিকতায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় নিখিল মালাকারের নেতৃত্বে জাকির হোসেন(৩৮), আখলিছ মিয়া(৩৯), অঞ্জন দাস(২৬) বলাই রায়(৪৮), হারুনুর রশিদ(৩৭), জগলু মিয়া(৫০) ইরেশ মালাকার(৫৫)সহ ২৫/৩০ জনের সংঘবদ্ধ একদল সন্ত্রাসী ফিল্মি স্ট্রাইলে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অমর মালাকারের ঘরের প্রধান গেইটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। তারা হামলা করে অমর মালকার, তার গর্ভবতী স্ত্রী পলি মালাকার, বোন স্বপ্না মালাকারকে আহত করে। হামলাকারীরা ঘরের আসবাপত্র ভাংচুর করে, লেপ-তোষক আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। আহতরা বর্তমানে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। হামলার ঘটনায় পলি মালাকার বাদী হয়ে ৮জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে শনিবার বিকেলে কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার সুষ্ট বিচার দাবী করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পলি মালাকার আরো বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর আসামীরা নানাভাবে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। আমরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীরতায় ভোগছি।
এ ব্যাপারে হামলাকারীদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত স্বীকার করে বলেন, তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।