একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় অনেক আগ থেকেই গাছচুরিসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার পরও বিশেষ কোন কাজ হয়নি!
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কমলগঞ্জ-কুরমা সড়কের আদমপুর বাজার এলাকার সড়কের দু’পার্শ্বের ৭টি আকাশমনি গাছটি কেটে নিয়েছে দৃর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন একসময় গাছ সমুহ কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
জানা যায়, কমলগঞ্জ-আদমপুর সড়কের দু’পার্শ্বে এলজিইডি বিভিন্ন প্রজাতির বনজ গাছ রোপন করেছিল। গাছ সমুহ এখন বেশ বড় হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় কমলগঞ্জ-কুরমা সড়কের আদমপুর বাজার এলাকার সড়কের পার্শ্বের প্রায় ৭টি আকাশমনি গাছ কেটে খন্ড-খন্ড করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলে ৮টি রেখে বাকি খন্ড সমুহ নিয়ে যায়। শনিবার সকালে আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজিম মিয়া রাস্তার পার্শ্বের গাছ কাটা ও কাটা গাছের খন্ড পড়ে থাকতে দেখে ইউপি চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন ও বনবিভাগকে অবহিত করে।
আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন বলেন, সড়কের পার্শ্বে নতুন ৭টি গাছ কাটার মোথা পাওয়া গেছে এবং ৮টি খন্ডে প্রায় ২৫ ঘনফুট গাছ পাওয়া গেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা হবে। আবদাল হোসেন সড়ক সংলগ্ন বৃক্ষ নিধনের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আরো বলেন, সড়ক সংলগ্ন মূল্যবান গাছগুলো প্রায়ই কেটে নিয়ে যাচ্ছে অসাধু চক্র। আমি বারবার উপজেলা প্রশাসন, বনবিভাগ এমনকি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় এসব অপকর্ম রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলেছি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) এর কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, কমলগঞ্জ-কুরমা সড়কের আদমপুর এলাকা থেকে গাছ চুরি যাওয়ার খবর পেয়েছেন। চুরি যাওয়া গাছ ও চোরদের আটক করার জন্য কমলগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, কমলগঞ্জ-কুরমা সড়কের আদমপুর এলাকায় এলজিইডির রোপিত গাছ চুরি ও কেটে ফেলে রাখা গাছের খন্ডের ঘটনা অবহিত হয়েছেন। তিনি আদমপুর বনবিট কর্মকর্তাকে ফেলা যাওয় খন্ডিত গাছের অংশ উদ্ধার করার জন্য বলেছেন।