মুক্তকথা: লন্ডন, ১লা অগ্রহায়ণ ১৪২৩।। অপরাধের রেকর্ড রয়েছে এমন অভিবাসীদের খুঁজে বার করা হবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে কোনও টিভি চ্যানেলে দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প গত ১২ই নভেম্বর উপরের মন্তব্যটি করেন। তিনি বলেন, ‘‘অপরাধী আর অপরাধের রেকর্ড আছে এবং মাদক পাচারকারী প্রচুর অভিবাসী রয়েছে। সম্ভবত ২০ থেকে ৩০ লক্ষ হতে পারে। দ্রুত তাদের আমরা দেশ থেকে বার করে দেব অথবা আটক করব।’’ নির্বাচনের প্রচারাভিযানের সময় মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তুলার বিষয়ে তিনি একটু পরিবর্তন করে বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে আমরা ঠিক করবো কারা ঢুকতে পারবে। ভাল অনেকেই আছেন তবে সেটিও আমরা নিজেরা দেখে ঠিক করবো আর সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
ট্রাম্পের সাক্ষাৎকারের ওই দিনও অভিবাসন, পরিবেশ, এলজিবিটি অধিকার-সহ তার বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে তাঁরই নিজের শহর নিউ ইয়র্কে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন আট হাজারের মত মানুষ।
শিকাগো আর লস অ্যাঞ্জেলেসেও ট্রাম্প বিরুধী মিছিল হয়েছে। শিকাগোতে ট্রাম্পের একটি বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বহু মানুষ। লস অ্যাঞ্জেলেসে ও উইলশায়ারে মিছিল করেছেন কয়েক হাজার মানুষ।
আলফ্রেড ডায়াস, বুনিয়াদ মেক্সিকো থেকে আসা। বিক্ষোব্ধ আলফ্রেড, মিছিলে তিনিও ছিলেন। তার উক্তি- গণতন্ত্রে যা করা যায় তাই করছি মাত্র।” জানা গেল আলফ্রেডের জন্ম লসএঞ্জেলেসে।
আরেক জন, কিমি লিউ। কচি ছেলেকে পিঠে করে নিয়ে এসেছেন ট্রাম্প টাওয়ারের কাছে প্রতিবাদ করতে। তার কথা-“নির্বাচনে ঘৃণা বিজয়ী হয়েছে। এর পরে আমরাতো বসে থাকতে পারি না।”