১০০ মিটার বুক সাঁতারে আদম পিটি, স্বর্ণপদক জয়।
মুক্তকথা: বৃহস্পতিবার, ২৫শে আগষ্ট ২০১৬।। বুক সাঁতারে বৃটেনের স্বর্ণপদক প্রাপ্তি এমন এক যুবকের দ্বারা সম্ভব হয়েছে যে কি-না ছোটবেলায় সাঁতার কাটতে ভয় পেতো। তার মা কেরোলিন তাকে গোসল করাতে গিয়ে রীতিমত পানি-ছেলেতে যুদ্ধ করতেন। ডার্বির স্টাফফোর্ড শায়ার শহরের ২১ বছর বয়সের সেই ভীতু সাঁতারু আদম পিটি এবার বিশ্ব রেকর্ড করে জয় করে নিয়েছেন ১০০মিটার বুক সাঁতারে স্বর্ণপদক।
আদমের দাদীমা মেভিস উইলিয়াম বলেছেন ছোট বেলায় পানিকে যে ভয় পেতো। তার মা তাকে গোসল করাতে নিলে সে পানি দেখে গুঁত গুঁত করতো। পানি সে পছন্দ করতো না। আমার সেই আদম বিশ্বরেকর্ড করে জয় করে নিয়েছে স্বর্ণপদক এ খুশী অবাক করা নয়। আদমের সারা বছরের পরিশ্রম তাকে পুরস্কৃত করেছে। তিনি আরও বলেন আমার নাতির কারণে আমি নিজে “সেলেব্রিটি” হয়ে গেছি। আমার টুইটার বার্তা ২০০০ লোক ‘রিটুইট’ করেছে এবং ৫৫০০টি ‘লাইক’ পেয়েছি।
আদমের এই বিশ্বজয়ের খবরে তার মা শুধু বলেছেন- “ওয়াও”, “আমি জানিনা কি করবো, আমি কি কাঁদবো, সত্যি আমি ভাবাবিষ্ট হয়ে পড়েছি। এর বেশী তার বলার কোন ভাষা নেই। পরে অবশ্য তিনি বলেন যে কোত্থেকে সে এই ক্ষমতা পেয়েছে আমি জানিনা।
আদমের ভাই-বোন তারা সকলেই বলেন যে আমরা আদমের জন্য গর্বিত। ডার্বি শহরের ‘সুইমিং ক্লাব’ এর এক বন্ধু বলেন, “আদম কখনও কোন পার্টিতে যেতো না, পান করতো না, সে রাত ১০টার মধ্যে বিছানায় চলে যেতো। যা তার মতো ২১ বছরের একজন যুবকের জন্য অস্বাভাবিক ও আশ্চর্যের বিষয়। নিজের উপর তার এতো নিয়ন্ত্রণ এটা খুব কমই দেখা যায়। একুশ বছর বয়সে কেউই এমন হতে পারেনা।”
আদমের ভাই জেক স্টিভেনসন ও আদম ছোট বেলায় সেই যখন ৪ বছর বয়স তখন তারা সাঁতার শিখেছিল। গত ৭ বছর ধরে আদম তার সমস্ত সময় সাঁতারের জন্য ছেড়ে দিয়েছিল।
ভাই স্টিভেনসন বলেন, তার মত এতো মাটির মানুষ খুবই কম হয়। এই বিজয়ের পরও সে যখন আমাদের কাছে ফিরে আসবে সে ওই আগের আদমই থাকবে।(বিবিসি থেকে অনুদিত ও সংক্ষেপিত)