রাজনগর উপজেলার কুশিয়ারা পাড়ের খেয়াঘাট বাজারে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান স্মরণে আলোচনা সভা ও ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় “সাইফুর রহমান স্মৃতি সংসদের” আয়োজনে আলোচনা সভা ও ত্রাণ বিতরণে কমর উদ্দিন মেম্বারের সভাপতিত্বে ও আব্দুল হাকিম টিটু ও আবুল ফতেহ ফাত্তাহ’র যৌথ পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করীম ময়ুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জামি আহমদ, উত্তরভাগ ইউনয়নের সাবেক চেয়রম্যান কবির মিয়া।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফখরুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম রিপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ইসহাক চৌধুরী মামনুন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহিবুর রহমান সাজিব, জেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক এড. সাইদ আহমদ আদনান, ছাত্রদলের সরকারি কলেজের আহবায়ক সদস্য মোতাহের হোসেন তানিম প্রমুখ। পরে ৩ শতাধিক বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, দ্বায়িত্বশীলদের মধ্যে ৫টি গুনাবলী থাকলে “গণভিত্তি হবেই হবে”। তিনি ৫টি গুনাবলীর নামোল্যেখ করে বলেন, সত্যের স্বাক্ষী, সুসংবাদ বহনকারী, সতর্ককারী, সত্য কথা উপস্থাপনকারী ও বিনিময় না চাওয়া ব্যক্তির মধ্যে ওই জিনিসগুলো থাকলে “গণভিত্তি তৈরি না হয়ে পারে না”। শনিবার জেলা জামায়াতের আয়োজনে “নেতৃত্ব প্রশিক্ষন” শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
এডভোকেট আকন্দ আরো বলেন, পৃথিবী পরিবর্তনের দুটি ধারা রয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক এরেকটি গণভিত্তি। এ দুটির জন্য জনসমর্থন প্রয়োজন। গণভিত্তির একটি অংশ হবে জনসমর্থনসহ আর্মি এডমিনিস্টেশন ও সিভিল এডমিনিস্ট্রেশন। এটা না হলে কোন জাতি ঠিকতে পারবে না।
তিনি বলেন, গণভিত্তি রোড ল্যাবেলে হবে, ওয়ার্ড পর্য়ায়ে হবে। একটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড যদি মজবুত থাকে, তবে এখান থেকে আর্মি তৈরি হবে, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদবী বের হবে। সুতরাং কর্মী তৈরি করতে হলে অবশ্যই আমাদের রোড ল্যাবেলে যেতে হবে।
ছাত্রদের মাধ্যমে নেতৃত্ব তৈরি হয় উল্যেখ করে আখন্দ আরো বলেন, একটি এলাকায় মুরব্বীদের দাওয়াতের আওতায় আনতে হবে। এটি করতে পারলে একজন ছাত্র তার আরেক অভিভাবক পাবে। সংগঠনের কাজে আরো উৎসহ পাবে।
অনুষ্ঠানে জামায়াতের জেলা আমীর প্রকৌশলী এম শাহেদ আলী’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মোঃ ইয়ামীর আলী’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর মোঃ ফখরুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, আমাদের দ্বায়িত্বশীলদেও দাওয়াতী কাজ উদার মনে করতে হবে। সেই দাওয়াত দিতে হবে সর্বমহলে। শুধু বড় ব্যবসায়ী দেখে দাওয়াত দিলে হবে না। একজন পান দোকানদারকেও জামায়াতের দাওয়াত দিলে সেটি আরো প্রচার ও প্রসার হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর মোঃ আব্দুল মান্নান, সাবেক জেলা আমীর দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব, মাও আজাদ সোবহানী,মাওঃ আমিরুল ইসলাম, মাওঃ আব্দুল হক প্রমূখ। লিডারশীপ ট্রেনিং-এ জেলাশহর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা দ্বায়িত¦শীলগণ উপস্থিত ছিলেন।