জানাযায় লাখো মানুষের ঢল
আব্দুল ওয়াদুদ।। লাখো ভক্তদের অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় চির নিদ্রায় শায়িত হলেন মৌলভীবাজার তথা সিলেট বিভাগের বরেণ্য আলেম, আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’এর আমীর ও বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড(বেফাক) এর সহ-সভাপতি, শ্রীমঙ্গল উপজেলার জামিয়া লুৎফিয়া আনোয়ারুল ইলুম বরুণা মাদ্রাসার মুহতামিম ও প্রখ্যাত শায়খুল হাদিস আল্লামা শায়খ খলিলুর রহমান বর্ণভী। শুক্রবার বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে বরুনা মাদরাসা মাঠে তার জানাযা সম্পন্ন হয়। এতে ইমামতি করেন শায়েখের পুত্র বদরুল আলম হামিদি।
|
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর। তিনি ৩ ছেলে ও ৫ মেয়েসহ অসংখ্য ছাত্র, আত্মীয়-স্বজন, ভক্তবৃন্দ রেখে গেছেন। এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত দুই দিন আগে শায়খ খলিলুর রহমান বলেন তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যেতে। ফলে বৃহস্পতিবার সিলেট থেকে মৌলভীবাজার নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়িতে আসার পর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে লান্সের সমস্যা, জ্বর, ডায়াবেটিস ও হাই প্রেসারসহ নানা রোগে ভূগছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে সিলেটসহ সারা দেশের কওমি অঙ্গনে শোকের ছাঁয়া নেমে আসে।
জানাযা পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য দেন, সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মৌলভীবাজার পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম, বেফাকের মহাসচিব মুফতি মাও মাহফুজুল, বেফাকের মহা পরিচালক মাও জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী, জামেয়া গহুরপুর এর মহতামিম মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু, জামেয়া রেঙ্গা সিলেট এর মুহতামিম মাও. মুহিবুল ইসলাম বুরহান, মৌলভীবাজার ওলামা পরিষদের সভাপতি মাও আব্দুল বারী ধর্মপুরীসহ অনেকে।
মরহুম খলিলুর রহমানের পিতা শায়খ লুৎফুর রহমান বর্ণভী রহ. ছিলেন উপমহাদেশের একজন বুজুর্গ আলেমে দ্বীন। তিনি বৃটিশ আমলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুণা এলাকায় এসে কওমি মাদ্রসা প্রতিষ্ঠা করেন। এর পর থেকে লেখাপড়ার জন্য এ মাদ্রাসার ব্যাপক সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
|