আর সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে। যে কারণে ১৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আর দীর্ঘ সময় চলমান ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএম কনটেইনারের ডিপোর মালিকপক্ষ। বিএম কনটেইনার ডিপো চট্টগ্রামভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্মার্ট গ্রুপের মালিকানাধীন।
চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ স্মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিএম এবং কনটেইনার ডিপোর পরিচালক মজিবুর রহমান। ডিপোতে দাহ্য পদার্থ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড কেমিক্যাল ছিল বলে স্বীকার করেন তিনি। ফায়ার সার্ভিসের কাছে কোনো তথ্য গোপন করেননি বলেও দাবি করেন স্মার্ট গ্রুপের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
তিনি, বিস্ফোরণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, এই দূর্ঘটনায় তার ক্ষতি ছাড়িয়ে গেছে হাজার কোটি টাকা। সংবাদ মাধ্যমে তার উক্তি ছিল- ‘আমার তো ভাই সব শেষ।’
ফায়ার সার্ভিসকে কিছুটা দোষারূপ করে তিনি বলেন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড কখনো নিজে থেকে জ্বলে না। অতিরিক্ত তাপে আগুন ধরে ও বিস্ফোরিত হয়। ফায়ার সার্ভিস যদি সঠিক মতো কাজ করত তাহলে কিছুই হতো না। রাসায়নিক পদার্থ ও গার্মেন্টস পণ্য থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে বলে তিনি নিজেই ধারণা করছেন বলে জানান।
জনাব মজিবুর রহমান হাসপাতাল থেকেই সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তার এই ডিপোতে শতাধিক শ্রমিক ছিলেন। আহতদের সবার চিকিৎসা খরচ তারা বহন করছেন বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান যে, চট্টগ্রাম ও সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন হাসপাতালে তাদের কর্মীদের চিকিৎসার তদারকি ও খরচ বহন করছেন তারা।’