1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
সুজনের সংলাপ, চা প্রশিক্ষণ সনদ এবং শিশু ও নারী নির্যাতন মামলা - মুক্তকথা
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৭ অপরাহ্ন

সুজনের সংলাপ, চা প্রশিক্ষণ সনদ এবং শিশু ও নারী নির্যাতন মামলা

কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল সংবাদদাতা॥
  • প্রকাশকাল : শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫
  • ৩১৮ পড়া হয়েছে

সুজনের জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা শীর্ষক
নাগরিক সংলাপ


“সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ” ধ্বনিতে সিলেটে জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা শীর্ষক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুজন-(সুশাসনের জন্য নাগরিক) এর আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সিলেটের হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনালে নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা এসময় মানুষের বাক স্বাধীনতা, নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে সরকারের প্রতি আহবান জানান। কোনো সন্ত্রাসী যাতে রাজনৈতিক দলের কর্মী হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা, সংসদ সদস্যদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ, প্রতিটি নাগরিক যেন মৌলিক অধিকার পায় তা নিশ্চিত করা, ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠা না করার বিষয়েও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। সিলেট জেলা সুজনের সহ-সভাপতি সৈয়দা শিরিন আক্তার এর সভাপতিত্বে সিলেট জেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ সাহেদার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা সুজনের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদক একেএম শিবলী, হবিগঞ্জ জেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মিসবাহুল বারী লিটন, সুনামগঞ্জ জেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম সাঈদ, মৌলভীবাজার জেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদক জহর লাল দত্ত, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট সিলেট আঞ্চলিক সমন্বয়কারী নাজমুল হুদা মিনা।

স্বাগত বক্তব্যে  সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, রাজনীতি হলো জনসেবা ও মানবসেবা। রাজনীতিবিদরা মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করে দেয় কিন্তু বর্তমানে সেই রাজনীতির পরিবর্তন ঘটেছে। রাজনীতি সুস্থ ধারায় আসতে হবে এবং জনকল্যানমুখী হতে হবে। রাজনীতি পরিচ্ছন্ন হলেই আইনের শাষণ প্রতিষ্ঠা পাবে। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন হতে হবে। এ দায়িত্ব আমাদের সকলের।

বক্তব্য রাখেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবীর, সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, এড. সৈয়দ কাওসার আহমদ, এড. সত্যজিৎ কুমার দাস, শাবিপ্রবির অধ্যাপক আবুল কাশেম উজ্জ্বল, তাহমনিা আক্তার, প্রফেসর মোশাররফ হোসেন, বাসস সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি মো. আমিনুল হক, সাংবাদিক ইয়াইয়া মারুফ, শাকিলা ববি, কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম সুনামগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক সামিনা চৌধুরী মনি, আতাউর রহমান সামছু, হুমায়ূন রহমান বাপ্পি, মোতালেব তালুকদার দুলাল, সজিদুর রহমান, শাহজাহান প্রমূখ।



বিটিআরআই এ গুণগতমানসম্পন্ন চা উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষণ

বাংলাদেশ চা গবেষণা প্রশিক্ষন প্রতিষ্ঠানে সনদপ্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন


মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের(বিটিআরআই) উদ্যোগে প্রিন্সিপালস অ্যান্ড প্রসেসেস অব কোয়ালিটি টি ম্যানুফ্যাকচারিং সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন হয়েছে। গুণগতমানসম্পন্ন চা উৎপাদন, নানান বৈশিষ্ট্যের চা সম্পর্কে ধারণা, প্রতিটি চায়ের প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিপণন প্রভৃতি বিষয়ের ওপর গত ১২ জুলাই (শনিবার) ছয় দিনব্যাপী থিউরিক্যাল এবং প্রাকটিক্যাল প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে কোর্সের সমাপনী দিনে বিটিআরআইর সেমিনার রুমে অংশগ্রহণকারী ৩৯ জন প্রশিক্ষার্থীর হাতে সনদপত্র এবং ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। এই কোর্সের গুরুত্ব প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের(পিডিইউ) পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিটিআরআইর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল আজিজ, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাসুদ রানা, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শেফালি  বুনার্জী, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অপু বিশ্বাস, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শোভন কুমার পাল প্রমুখ।

 

ছয় দিনব্যাপী এই কোর্সের চূড়ান্ত মূল্যায়নে ‘প্রথম স্থান’ অর্জন করেন নেপচুন চা বাগানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মুহিত শেখ। যৌথভাবে ‘দ্বিতীয় স্থান’ অর্জন করেন বালিশিরা টি ফ্যাক্টরির অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মাসুদ হাসান এবং ভাড়াউড়া টি ফ্যাক্টরির অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মশিউর রহমান।

‘তৃতীয় স্থান’ অর্জনকারী ৩ জনব্যক্তি হলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পার্থিব বড়ুয়া, বুরজান চা বাগানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হুমায়ুন কবির এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহাথির মোহাম্মদ।

এই প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট কোর্সে চা বাগানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, উত্তরাঞ্চলের চা বাগান উদ্যোক্তা, পঞ্চগড়ের ক্ষুদ্র চা চাষি, টি ব্রোকার্স প্রতিনিধি এবং চা উৎপাদন বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তিরাও অংশ নেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরোয়ার হোসেন গুণগতমানসম্পন্ন চা উৎপাদনবিষয়ক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন।


 

মারপিটের মামলা প্রত্যাহার না করায় কমলগঞ্জে,
শিশু ও নারী নির্যাতন আদালতে মামলা


 

মারপিটের জন্য দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে না নেওয়ায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এক শিশু ও নারীকে মারপিট করে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ জুন বুধবার বিকালে আলীনগর ইউনিয়নের যোগীবিল গ্রামের রাস্তায়। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে মৌলভীবাজার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, যোগীবিল গ্রামের সঞ্জিত কর, অনন্ত কর গংদের সাথে একই গ্রামের দিপালী শব্দকর ও তার স্বামী ইরেশ শব্দকরের বিরোধ চলে আসছে। বিরোধকে কেন্দ্র করে সঞ্জিত কর, অনন্ত কর প্রথম দফা স্কুল পড়ুয়া শিশু জয়শ্রী রানী কর(৯) ও তার মা দিপালী শব্দকর(৫০)কে মারধোর করে আহত করে। এঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে সি,আর মামলা দায়ের করা হয়। মামলা প্রত্যাহার করে না নেয়ায় গত ২৫ জুন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সঞ্জিত কর-এর বাড়ির সামনের রাস্তায় জয়শ্রী রানী করকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত করে সঞ্জিত কর। এসময়ে শিশু জয়শ্রীকে রক্ষায় দিপালী শব্দকর এগিয়ে আসলে সঞ্জিত কর, সুজিত কর, অনন্ত কর, হরিমোহন মালাকার, বৃন্দাবন মালাকার যৌথভাবে হামলা করে দিপালী করকে গুরুতর আহত করে। পরে তাদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এঘটনায় দিপালী শব্দকর বাদি হয়ে সঞ্জিত কর(৩০), সুজিত কর(২৫), অনন্ত কর(৪০), হরিমোহন মালাকার(৫০) ও বৃন্দাবন মালাকার(৫৫) কে আসামী করে গত ২৭ জুন মৌলভীবাজার আদালতে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা গত ১০ জুলাই মৌলভীবাজার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক ১ নম্বর আসামী সঞ্জিত করকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন এবং সুজিত কর, অনন্ত কর, হরিমোহন মালাকার ও বৃন্দাবন মালাকারকে জামিন প্রদান করেন।

এ মামলার বাদী দিপালী শব্দকর জানান, আসামীরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এসে আমাদেরকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগতেছি। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী(জিডি) করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

অভিযোগ বিষয়ে অনন্ত কর, হরিমোহন মালাকার ও বৃন্দাবন মালাকারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার এসআই মোহাম্মদ আমির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী জেলহাজতে আছে, বাকীরা জামিনে আছে। জামিনে মুক্ত হয়ে আসামীরা বাদীপক্ষের লোকদের হুমকির বিষয়ে তদন্তক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT