বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সরঞ্জাম বয়ে আনা রুশ জাহাজ ‘উরসা মেজর’এর ঘটনার দিকে খেয়াল করলে উপরের বক্তব্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ‘উরসা মেজর’ এই রুশ জাহাজ বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে ভিড়তে না-পেরে এখন প্রতিবেশী ভারতের হলদিয়া বন্দরে মাল খালাস করতে গিয়েছে। হলদিয়ায় মাল খালাস করার পর ওই সব সরঞ্জাম সড়কপথে বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে স্থির হয়েছে। এমন তথ্যের উৎস বিবিসি। বিবিসি এরূপ একটি খবর প্রকাশ করেছে। ‘উরসা মেজর’ নামে একটি রুশ জাহাজ গত ১৪ নভেম্বর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের সরঞ্জাম নিয়ে বাংলাদেশের দিকে রওনা দিয়েছিল। এই রুশ জাহাজটির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে বলে আমেরিকার আপত্তির কারণে বাংলাদেশ জাহাজটিকে দেশের বন্দরে ঢুকতে দেয়নি।
পক্ষান্তরে বিবিসি’এর খবর থেকে জানা গেলো, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা কোনও রুশ জাহাজ ভারতের কোনও বন্দরে ভিড়লে ভারতের তাতে কোনও সমস্যা নেই। গত ২৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বিবিসি’কে বলেন, “এই রুশ জাহাজটির গতিবিধির ব্যাপারে আমার কাছে বিস্তারিত তথ্য নেই, তবে এটি যদি ভারতের কোনও বন্দরে ভিড়ে থাকে বা ভিড়তে আসে, তাহলে তাই!” ভারতের কলকাতা-হলদিয়া পোর্ট ট্রাস্টের একটি সূত্র জানায় পরবর্তী আটচল্লিশ থেকে বাহাত্তর ঘন্টার মধ্যেই জাহাজটি হলদিয়া বন্দরে ভিড়তে পারবে বলে ধারণা করছে তারা।
শুধু কি তাই, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওই অরিন্দম বাগচী আরও বলেন, “আজকের এই টেকনিক্যাল দুনিয়ায় কোনটা নিষেধাজ্ঞা, কোনটা নয় তা নিয়েও বহু বিতর্ক আছে। কিন্তু আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তার স্বার্থে পৃথিবীর যেখান থেকে আমরা সহজে তেল পাব সেখান থেকেই আনব, এটাই আমাদের নীতি। তেল ছাড়া অন্য পণ্যের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে।”
মূল কথা হচ্ছে বাংলাদেশ কি কোন পরীক্ষা দিল(?)। অন্যদিকে, হলদিয়া বন্দর থেকে পণ্য বহন করে বাংলাদেশে আনতে খরচ তো গুণতে হবে বাংলাদেশকেই!
|