লন্ডন: মঙ্গলবার, ২০শে অগ্রহায়ণ ১৪২৩।। হাস্যকর এক প্রশ্ন তুলেছেন তারা! ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা, প্রয়াত জয়ললিতার শেষকৃত্য নিয়ে খুবই সংকীর্ণ আর মৌলবাদী ধর্মী একটি খবর ছাপা করেছে। আনন্দবাজার প্রশ্ন তুলেছে প্রয়াত জয়ললিতাকে দাহ না করে কেন কবরস্ত করা হল?
আনন্দবাজার নয়, যে কোন ব্যক্তিরই কোন বিষয়ে নিজ প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এটি একজন মানুষের মৌলিক অধিকার। কিন্তু অধিকারের নামে যদি জনসমাজে ধর্মের মৌলবাদী সুরসুরি দেয়া হয় তা’হলে তাকে কি বলতে হবে জানিনা। অনধিকার চর্চ্চা না-কি অন্যকিছু সেটি অবশ্য পরের প্রশ্ন।
আনন্দবাজার অত্যন্ত কৌশলে বস্তাপঁচা দ্বিজাতি তত্ত্বের সেই বিষময় বীজ আবারো রূপন করার চেষ্টা করেছেন তাদের সেই খবরে। তারা ছোট্ট ওই খবরের মাধ্যমে তামিল নাড়ুর মানুষের মাঝে নতুন করে সাম্প্রদায়ীকতার বীজ বুনার চেষ্টা করেছেন বলেই আমাদের মনে হয়েছে।
ওই খবরে আনন্দবাজার লিখেছে-“আজীবন নিষ্ঠাবতী হিন্দু তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম জয়ললিতাকে দাহ না করে কেন তাঁকে সমাহিত করা হল, সেই প্রশ্নটা এখন রীতিমতো ঘুরপাক খাচ্ছে তামিলনাড়ু সহ দেশের সর্বত্রই। আজীবন ঘুরেছেন মন্দিরে মন্দিরে, পুজো দিয়েছেন বিভিন্ন মন্দিরে। তা সে তালিপ্পারাম্বা রাজারাজেশ্বরের মন্দিরের সোনার পাত্রেই হোক বা গুরুভায়ুর মন্দিরের হাতি, কোনও খানেই ‘প্রণামী’ দিতে বাকি রাখেননি তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে হিন্দু প্রথা মেনে দাহ করা হল না। জয়ললিতাকে সমাহিত করা হল মেরিনা বিচে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। কেন?”
আনন্দবাজার এখানেই শেষ করেননি। আরো একটু বাড়িয়ে গন্ধ খুঁজে বের করেছেন যে দ্রাবিড় তামিলরা সবসময়ই হিন্দু রীতিপ্রথার বিরোধিতা করে এসেছে। তামিলরা দ্রাবিড় ছিল। এই কথাটি বলার খুব সঠিক সময়ই তারা বেঁচে নিয়েছেন! একটি জাতিগোষ্ঠীর মানুষের এই শোকসন্তপ্ত অবস্থায় বলাই কি খুব জরুরী ছিল? হতে পারে এ সময় বলাই উপযুক্ত বলে তারা মনে করেছেন।