লন্ডন: কাঁথি,মহিষাদলের পর এবার কাঁথি। পুলিস–প্রশাসনের একেবারে নাকের ডগায় হোটেল ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে রমরমিয়ে চলছিল মধুচক্র। কাঁথি থানা এবং কাঁথি মহকুমা শাসকের দপ্তরের মাত্র ১০০ মিটারের দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত তিলোত্তমা হোটেলে বৃহস্পতিবার রাতে হানা দিয়ে পুলিস উদ্ধার করল ৬ যুবতীকে। তাঁদের মধ্যে দু’জন বাংলাদেশি বলেও জানা গেছে। হোটেলের ম্যানেজার, ৩ জন কর্মী এবং ২ খদ্দেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। শুক্রবার ধৃতদের জামিন নাকচ করে দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে উদ্ধার হওয়া ৬ যুবতীকে।
দীঘা–মন্দারমণির পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল, নন্দকুমার, এগরা, কাঁথির বিভিন্ন হোটেলে দীর্ঘদিন ধরেই দেহ ব্যবসার রমরমা। প্রশাসনিক মদতে এই অবৈধ ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ তুলছিলেন বাসিন্দারা। সম্প্রতি কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মহিষাদলের কাপাসেড়াতে ৪১ নং জাতীয় সড়কের ধারে গজিয়ে ওঠা কয়েকটি হোটেলে পুলিস নিয়ে তল্লাশি চালায়। সেখানে উদ্ধার হয়েছিল ৪ নাবালিকা–সহ ২৫ জন মহিলা।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে গোপন সূত্র অনুযায়ী ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বৃহস্পতিবার রাতে কাঁথি থানার পুলিসের সহযোগিতায় তিলোত্তমা হোটেলে হানা দেয়। রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরের বিভিন্ন এলাকার যুবতী, মহিলাদের এনে এই হোটেলে স্থায়ী দেহ ব্যবসা চলত বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এছাড়াও কলেজ ছাত্রী এবং গৃহবধূদেরও এজেন্টের মাধ্যমে মোটা টাকার বিনিময়ে দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো হত এই হোটেলে। ঘটনার পর আপাতত সিল করে দেওয়া হয়েছে হোটেলটি। তবে মেদিনীপুরে এভাবে মধুচক্রের মতো ঘটনা বেড়ে চলায় সেখানকার বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই উদ্বেগ অযৌক্তিক নয় বলে মনে করে প্রশাসনও। এ সবের সঙ্গে অপরাধও প্রবেশ করে চলেছে ওই জেলায়। বিষয়টি নিয়ে সমস্ত স্তরের মানুষের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করছে পুলিস ও প্রশাসনের কর্তারা। -আজকাল থেকে