-বড়লেখায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুলতান আহমদ খলিল: শনিবার, ১৭ই অগ্রহায়ণ ১৪২৩।। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘নিরাপত্তাবাহিনীর জন্য যে ব্যয় হয় সেটা ব্যয় নয়। সেটা ইনভেস্টমেন্ট। যত উন্নতি, সভ্যতার চাকা ঘোরানো, শিক্ষা, ব্যবসা যা কিছুই বলুন। যদি আইনশৃংখলা ভালো না থাকে। তাহলে সবকিছু অচল হয়ে যাবে পুলিশের শোবার জায়গা নেই। তাদের ব্যারাকের স্বল্পতা রয়েছে। তারপরও তারা কাজ করছে।’ হলি অর্টিজন, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে পুলিশের ভূমিকা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশবাহিনীর জনবল, দক্ষতা বৃদ্ধি করে চলছি। ১০ বছর আগের পুলিশ আর নেই। আজকের পুলিশ জনগণের বন্ধু। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের জীবনকে বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করছে। আজকের পুলিশ অনেক দক্ষ, অভিজ্ঞ, অনেক জনবান্ধব। সব জায়গায় পুলিশ আপনাদের সেবায় থাকবে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) জেলা পুলিশের আয়োজনে মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালাল। সহকারী পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন, সাংসদ সৈয়দা সায়রা মহসিন, সাংসদ মো. আব্দুল মতিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মো. রফিকুর রহমান, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ, বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমার। সেখানে রোহিঙ্গাদের উপর নিপীড়ন হচ্ছে। তারা বাধ্য হয়ে মতৃভূ’মি ত্যাগ করছে। আসার সময় নানা বিপদসংকুল পরিস্থিতিতে আসছে। আমরা তাদের মানবিক সহায়তা করছি। পরিস্থিতি শান্ত হলে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।’ ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে গণপূর্ত বিভাগ বড়লেখা থানা ভবনের কাজ বাস্তবায়ন করেছে। সুধী সমাবেশ শেষে বিকেলে বড়লেখা উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে বড়লেখা আসার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুড়ী থানা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।