লণ্ডন।। ভারতের সর্ব্বোচ্চ আদালত গণধর্ষণ মামলার ৩ আসামীর মৃত্যুদণ্ড রহিত করার আবেদন নাকচ করে দিয়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামীগন ২০১২ সালে দিল্লীতে একটি বাসে সংগঠিত ২৩ বছর বয়সের একটি মেয়েকে গণধর্ষণ মামলার আসামী ছিল।
বিনয় শর্ম্মা, পবন গুপ্ত এবং মুকেশ সিং উচ্চ আদালতের রায়কে মোকাবেলার জন্য সর্ব্বোচ্চ আদালতে ২০১৭ সালে এই পূনর্বিচারের আবেদন করেছিল। এ নিয়ে আইনের সব ক্ষেত্রেই তারা পূনর্বিচারের জন্য আবেদন করে কোথায়ও নিজেদের নির্দোষ প্রমান করতে পারেননি। এখন একমাত্র একটি রাস্তা বাকী রয়েছে আর তা’হল রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা।
আজ সোমবার ৯ই জুলাই বিবিসি এ খবর প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ করা প্রয়োজনীয় যে, ২০১২ সালের ১৬ই ডিসেম্বরে সিনেমা দেখে বাসে করে ঘরে ফেরার পথে উপরোক্ত দূষ্কৃতিকারীরা ৬জনমিলে ওই মেয়ে ও তার বন্ধুকে গাড়ীতে আটকে নেয় এবং ছেলেটিকে মারপিট করে বাইরে ফেলে রাখে। মেয়েটিকে ৬জন মিলে ধর্ষণ করে তাকেও বাইরে ফেলে রাখে।
মেয়েটিকে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠান হয় এবং ২৯শে ডিসেম্বর মেয়েটি মারা যায়। চিকিৎসার সময় মেয়ের সাথে তার মা’ও হাসপাতালে ছিলেন। মেয়ের মা বলেছেন সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে আমি খুবই আনন্দিত কারণ আদালতের এ রায় সকল বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য। আমি ৬বছর ধরে কঠিন সংগ্রাম করে যাচ্ছিলাম। বিশেষ করে মা হয়ে মেয়ের চিকিৎসার ১৪দিন বড় কঠিন সময় গিয়েছে আমার। মেয়েটি আমার শেষ পর্যন্ত জীবন বাঁচাতে পারেনি। আজকের এ রায়ে আমি খুব সন্তুষ্ট। এ রায়ে আমাদের বিচার ব্যবস্থার উপর আমার আস্থা বাড়িয়ে দিয়েছে।
৬ আসামীর ১জন জেলেই ফাঁস লাগিয়ে মারা যায়। আর একজনকে বয়স কম তাই ৩বছরের সংশোধনী সাজা দেয়া হয়েছিল। বাকী ৪জনের ফাঁসীর আদেশ বহাল রইলো।