জাতীয় পার্টির (জাপা) এ কে এম মাঈদুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে গতকাল রবিবার ৪ঠা ফেব্রুয়ারী সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদকে জানান, বিভিন্ন পেশায় ৮৫ হাজার ৪৮৬ জন বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে কর্মরত রয়েছেন। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের তথ্য অনুযায়ী তালিকায় সবচেয়ে বেশি রয়েছেন ভারতীয় নাগরিক।
বাংলাদেশে বৈধভাবে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছেন ৪৪ দেশের ৮৫ হাজার ৪৮৬ জন নাগরিক। এর মধ্যে ৬৭ হাজার ৮৮৫ জনই নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সবচেয়ে বেশি আছেন ভারতের নাগরিক। প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির ৩৫ হাজার ৩৮৬ জন এ দেশে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের বরাত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল রোববার জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানান। এর আগে তাকে প্রশ্ন করতে গিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, প্রায় দুই লাখ বিদেশি প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এরই জবাবে মন্ত্রী এ বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
মন্ত্রী জানান, বৈধ পথে আসা বিদেশি নাগরিকরা বিশেষজ্ঞ, কান্ট্রি ম্যানেজার, কনসালট্যান্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার, মার্চেন্ডাইজার, টেকনেশিয়ান, সুপারভাইজার, চিকিৎসক, নার্স, ম্যানেজার, প্রকৌশলী, প্রডাকশন ম্যানেজার, ডাইরেক্টর, কুক, ফ্যাশন ডিজাইনার, শিক্ষক প্রভৃতি ক্যাটাগরিতে কাজ করছেন।
মন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৬৭ হাজার ৮৫৩ ব্যবসায়ীর পাশাপাশি রয়েছেন আট হাজার ৩০০ এক্সপোর্টার, তিন হাজার ৬৮২ জন কর্মকর্তা, দুই হাজার ১০৫ খেলোয়াড় ও স্পোর্টস সংগঠক, ৯২২ মূলধন বিনিয়োগকারী, ৮০৪ পার্সোনাল স্টাফ (ব্যক্তিগত কর্মচারী), ৭২৭ ইকুইপমেন্ট টেকনিক্যাল পার্সোনাল (কারিগরি যন্ত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি), ৫৬১ এনজিও (বেসরকারি সংস্থ) কর্মী, ৪০০ রিসার্স বা ট্রেনিং স্টাফ ও ১৩২ গৃহকর্মী ।
সংসদে জননিরাপত্তা বিভাগের দেওয়া অপর এক তালিকা অনুযায়ী, আলোচ্য ৪৪টি দেশের মধ্যে ভারতের পরেই রয়েছে চীন। তাদের ১৩ হাজার ২৬৮ জন বাংলাদেশে কাজ করছেন।
আর জাপানের চার হাজার ৯৩, দক্ষিণ কোরিয়ার তিন হাজার ৩৯৫,
মালয়েশিয়ার তিন হাজার ৮০, শ্রীলঙ্কার তিন হাজার ৭৭,
থাইল্যান্ডের দুই হাজার ২৮৪, যুক্তরাজ্যের এক হাজার ৮০৪,
যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজার ৪৪৮, জার্মানির এক হাজার ৪৪৭,
সিঙ্গাপুরের এক হাজার ৩২০ ও তুরস্কের এক হাজার ১৩৪ জন রয়েছেন।
এক হাজারের চেয়ে কম নাগরিক রয়েছে কয়েকটি দেশের। এর মধ্যে ফ্রান্সের ৯০৭, ইন্দোনেশিয়ার ৮৫৯, ফিলিপাইনেরও ৮৫৯,
রাশিয়ার ৮৪৫, নেদারল্যান্ডসের ৮১৮, ইতালির ৭৯৫,
পাকিস্তানের ৭১৩, ভিয়েতনামের ৬৫৪, অস্ট্রেলিয়ার ৫৬৩,
স্পেনের ৫৩২, কানাডার ৪০৪, মিশরের ৩৬৯,
সাউথ আফ্রিকার ৩১৮, সুইডেনের ২৫১, ডেনমার্কের ২৩৭, বেলজিয়ামের ২৩৫, নাইজেরিয়ার ২২৮, মরিশাসের ২২৪, সৌদি আরবের ২২৩, নেপালের ১৮৫, সুইজারল্যান্ডের ১৮৪, তাইওয়ানের ১৮২, ইরানের ১৫৪, বেলারুশের ১৪৪, পোল্যান্ডের ১৩৮, ব্রাজিলের ১৩৭, অস্ট্রিয়ার ১২৯, ইউক্রেনের ১২৮, মালদ্বীপের ১২৬, জর্ডানের ১০৯ ও উজবেকিস্তানের ১০৩ জন এই দেশে কাজ করছেন। এছাড়া অন্যান্য দেশের রয়েছে আরো এক হাজার ৯৯৭ জন। সূত্র: কর্পোরেট সংবাদ