মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গোপন বৈঠক চলাকালে পুলিশের ধাওয়ায় ৪ জন পুলিশের ওপর অতর্কিতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটায় উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নে নইনারপার ছাত্রদল নেতা ফয়সাল আহমেদের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ১০-১৫ মিনিট পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। এসময় মিছিলে তারা স্বরধ্বনি তোলেন- ‘পুলিশের উপর হামলা কেন জবাব চাই।’ এভাবে রাত ১১টা পর্যন্ত মিছিল দিতে থাকেন তারা। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই বিজয় প্রসাদ দেবনাথ, এএসআই পরিমল চন্দ্র শীল, কনস্টেবল মো. আজহারুল ইসলাম রাব্বি, আমিনুল ইসলাম। আহতদের মধ্যে দুজন কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থানায় চলে আসলেও বাকি দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নইনারপার বাজারে ছাত্রদল নেতা ফয়সাল আহমদের বাসায় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিএনপি’র ২৮অক্টোবর ঢাকার কর্মসুচি বাস্তবায়নে বৈঠক করছিলেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের দুইটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ধাওয়া করলে বৈঠক ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় উপস্থিত বিএনপি’র নেতাকর্মীরা রাস্তার পাশের ভবনের ছাদের ওপর থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল মারলে ৪ পুলিশ আহত হয়।
এ অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রদল নেতা ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমরা অন্যান্য দিনের মতো সবাই বসে মিটিং করছিলাম কোনো গোপন বৈঠক না। হঠাৎ পুলিশের বাঁশির আওয়াজ শুনে সবাই পালিয়ে যায়। তাদের ওপর আমরা কেউ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করিনি। এটা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাজানো নাটক। তারাই এ নাটক সাজিয়ে আমাদের ফাঁসাতে চাচ্ছে। তবে পুলিশের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি আরও বলেন, আমার এলাকার ছাত্রদল নেতা অনিকের বাসায় হামলা চালানো হয়েছে ও যুবদল নেতা কবির হোসেনের দোকানপাট লুটপাট ও ভাঙ্গা হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির কর্মসূচি বাস্তবায় ও নাশকতা করার পরিকল্পনা করছিলো তারা। এ ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার সাথে সাথেই হামলা করে তারা। এতে আমাদের ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।