কারী শের মোহাম্মদ, বৃটেনের চেথাম শহরে একজন ধর্মীয় গুরু হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। নিউহামের এই প্রখ্যাত ধর্মীয় নেতা তার এ বিশ্বাসী পদমর্যাদাকে অপব্যবহার করে ৪জন কিশোরীকে যৌন হয়রানি করার অপরাধে সম্প্রতি জেল দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। উডফোর্ড, ফরেষ্টগেইট-এর এ কারী শের মোহাম্মদ কেন্ট শহরের চেথাম-এ একজন ইমাম হিসেবে কাজ করছিলেন। একজন ইমাম হিসেবে তার কর্মকালীন সময়ে তিনি মসজিদে তার দায়ীত্ব পালনকালীন অবস্থায় এক কিশোরীকে অশালীনভাবে গায়ে হাত দেন। ৬১ বছর বয়সের একজন বুড়োমানুষ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বারবার একই অপকর্ম করে যান। ২০১৮ সালে ক্ষতিগ্রস্থ ওই কিশোরী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার আগ পর্যন্ত তিনি বার বার এই অপকর্ম করে যান।
অভিযোগের পর ওই বছর এপ্রিল মাসে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং জবানবন্দী নেয়া হয়। কিন্তু ওই কিশোরীর সাথে ধর্মীয় নেতার এমন অপকীর্তির ঘটনা জানাজানি হলে কিশোরীর জীবনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে এমন চিন্তা থেকে ওই সময় কারী শের মোহাম্মদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এর পরবর্তীতে মে ২০২২ ও ডিসেম্বর ২০২৩ সালে এই ইমাম আরও ৩টি কিশোরীর সাথে একই অপকর্ম করলে তাকে ডিসেম্বরের ১১ তারিখে আটক করা হয়। একটি কিশোরীকে যৌনভাবে হয়রানী করার অভিযোগে তাকে দায়ী করা হয় এবং পরে কেন্টারবারি ক্রাউন আদালতে তাকে ১৬টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ওই বছরের মার্চ মাসে।
তার এ বিকৃত কাজের কারণে(শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর) তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে এবং তার মুক্তির পর ৫ বছরের যৌন ক্ষতি প্রতিরোধমূলক আদেশ মানার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (এটি একটি আদালতের আদেশ যা যৌন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিকে দেওয়া হয়, যাতে জনগনকে যৌন ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যায়। এই আদেশের মাধ্যমে ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কিছু আচরণবিধি মেনে চলতে বাধ্য করা হয়, যেমন ইন্টারনেটের ব্যবহার সীমিত করা ইত্যাদি।)
কেন্ট-এর গোয়েন্দা পুলিশ কনর মিডিলটন বলেন, এই মানুষটি এমন এক জনগুরুত্বপূর্ণ দায়ীত্বে ছিলেন যখন ভয়াবহ অপরাধ সংগঠিত হয়। এরূপ একজন মানুষের এমন কুরুচীপূর্ণ অপরাধ কর্মবিষয়কে জনসমক্ষে নিয়ে আসার ব্যাপারে এই কিশোরীরা অগাধ সাহস দেখিয়েছে যার জন্য আমি তাদের ও তাদের পরিবারের প্রশংসা করি। [খবরটি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এর “মাই লন্ডন” অন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত]