লন্ডন: সোমবার, ৯ই মাঘ ১৪২৩।। কোন ধরনের নতুন নিয়োগ না দিয়েই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকার সকল বৈদেশিক দূতদের অফিস পরিত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তার ক্ষমতারোহনের দিনই তাদের অফিস ত্যাগের নির্দেশ দেন। দেশের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে অফিসের প্রথমদিনই ওবামা প্রসাশনের নিয়োগকৃত সকল রাষ্ট্রদূতদের চাকুরীচ্যুত করেন তিনি এবং ২০শে জানুয়ারী মধ্যাহ্নের মধ্যে অফিস পরিত্যাগের নির্দেশ দেন।
আগেই গত ২৩শে ডিসেম্বর তার ‘ট্রেনজিশন টীম’ বলেছিল যে, কোন রাষ্ট্রদূতের ব্যাপারেই কোন ব্যতিক্রম হবেনা এমনকি ছোট ছোট বাচ্চা-কাচ্চা নিয়েও যারা কাজে আছেন তাদের বেলায়ও নয়।
যা ই হোক, এটি একটি সাধারণ কৌশল যে রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতগনকে নতুন প্রশাসনের আগমনে পদত্যাগ করতে হয় কিন্তু কোন নতুন মানুষ খালি পদে নিয়োগ না দেয়াটা খুবই অস্বাভাবিক একটি বিষয়। বিশেষকরে ‘বিশ্ব নারী বিষয়ক রাষ্ট্রদূত’গনসহ প্রায় ৮০জন রাষ্ট্রদূতকে সাথে সাথেই বাদ দেয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপ, হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই সব দেশের জন্য যে সব গুরুত্বপূর্ণ দেশে ‘সিনেটের কনফারমেশন’ নিয়ে নতুন করে নিয়োগ দিতে মাসখানেক সময় লাগবে এবং এ সময় পর্যন্ত রাষ্ট্রদূতের অফিস খালি থাকবে। এসব বিশেষ দেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে প্রেসিডেন্টের সরাসরি টেলিফোন লাইনও কেটে দেয়া হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে বিশেষ করে জার্মানী, যুক্তরাজ্য এবং কানাডা অন্যতম। চীন, ভারত, জাপান এবং সৌদি আরবের বিষয়েও নতুন নিয়োগের দেখাশুনা চলছে।
কিছু নিয়োগ হয়েছে যেমন জাতিসংঘের প্রতিনিধি সামান্তা পাওয়ারের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে দক্ষিন কেরোলিনার গভর্নর নিক্কি হেলিকে। ইসরায়েল ও চীনে নতুন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। চেক রিপাব্লিকে ট্রাম্পের প্রথমা স্ত্রী ইভানা ট্রাম্পকে নিয়োগ দেয়ার জন্য ইভানা নিজে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এদিকে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল ও প্রতিরক্ষা দফতরে প্রচুর পদ অপূর্ণ রয়েছে। (ইন্ডিপেন্ডেন্ট অবলম্বনে)