তিনি বলেন, সম্প্রতি কিছুদিন আগে পুত্র সেলিম ডাক্তারির কাগজ দেখিয়ে আমার জমি ও বাড়ির সম্পত্তি তার নামে সই করিয়ে লিখে নেয়। পরবর্তীতে আমি জানতে পারি সে আমার সম্পত্তি নিয়ে গেছে। চাপা গলায় নির্যাতিত বৃদ্ধ বলেন, এরকম নির্যাতনের পর আমার মেয়েকে বাড়িতে ডেকে পাঠিয়ে তার সঙ্গে জামাইর বাড়িতে চলে যাই। মেয়ে নিহারুন বলেন, বাবার উপর এসব নির্যাতন দেখে আমি তাকে আমার বাড়ি নিয়ে যাই। বৃদ্ধের ভাতিজা ডাঃ ছালিকুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি আমাকে ও গ্রামের সবাইকে অবহিত করেন। আমরা ও গ্রামবাসী মিলে সেলিমকে বুঝাতে গেলে তার স্ত্রী দিয়ে আমাকে ও চাচার দুই ভাই বাসিক মিয়া ও সাতির মিয়াকে আসামী করে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
করিমপুর গ্রামের মুরব্বী মোঃ হাজির মিয়া, মুতলিব মিয়া, ইসলাম খান, বশির মিয়া, বারিক মিয়া, হামজা মিয়া, মান উল্ল্যাহ ও জমসেদ মিয়াসহ প্রায় অর্ধ্ব শত মানুষ জানান, ওই বৃদ্ধের উপর নির্যাতনের বিষয়টি সমাধান করতে স্থানীয় মেম্বারসহ দেখার উদ্যোগ নিলে সেলিম পড়ে জানাবে বলে স্ত্রীকে দিয়ে মামলা দায়ের করে। গ্রামবাসীর কথায় কোন কর্ণপাত করেনি সে।
বিষয়টি জানতে চাইলে পুত্রবধু রিমা বেগম বলেন, তার শশুর দীর্ঘদিন যাবৎ তাকে নির্যাতন করে আসছেন। গৃহকর্মীর সাথে কোন সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি গৃহকর্মী নয় আমার আপন চাচাতো ভাই। এরকম কথা তিনি বলতে পারলেন।
বৃদ্ধের পুত্র সেলিম মিয়া মঙ্গলবার ২আগষ্ট দুপুরে এ প্রতিবেদককে বলেন, “পুয়ায়-বাবায় পারিবারিকভাবে সমস্যা হইতোও পারে”। তিনি বলেন, বাবা যা কিছু বলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের বাড়িতে যিনি থাকেন তিনি গৃহকর্মী নয় আমার স্ত্রীর চাচাতো ভাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন মিয়া বলেন, বৃদ্ধকে নির্যাতন ও পুত্রবধুর অনৈতিক কার্যকলাপের কথা বৃদ্ধের কাছ থেকে আমি শুনেছি। তবে সম্প্রতি গেল ২৫ জুলাই রাত সাড়ে ৩টায় সেলিম মিয়া তার শুশুর বাড়ি থেকে মালামাল নিতে একটি পিকআপ নিয়ে বাড়িতে আসলে রাজনগর থানার এসআই আরিফুল ইসলামসহ আমরা বাধা দেই। পরবর্তীতে ঘরের চাপি আমার কাছে দেয়া হয়। পরে অন্য একিদন বৃদ্ধের পুত্র সেলিম ভরা দুপুরে এসে গ্রিলের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে।
|