মুক্তকথা:মৌলভীবাজার ২৩শে জুন ২.১৫::
ভারী যানবাহন চলাচলে রাস্তায় এমন মাপের গর্ত তৈরী হয়েছে যে মনে হবে নতুন রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। রাস্তা তো মানুষ আর যানবাহন চলাচলের জন্যই নির্মাণ করা হয়। সে রাস্তায় ভারী হোক মাঝারি হোক গাড়ী তো চলবেই।
কিন্তু নিশ্চয়ই সে দিকে নজর রাখার জন্য প্রজাতন্ত্রের কোন একটি দপ্তর রয়েছে, রয়েছে মানুষ। কোন কোম্পানীর কোন ধরনের গাড়ী কোন রাস্তায় চলতে পারবে আর কোথায় পারবে না, তা অবশ্যই তাদের জানার কথা। তাদের ফাইলপত্রে এসব থাকার কথা। কারো গাড়ী কোন এক রাস্তা ভেঙ্গে দিলে সেই মালিক সরাসরি ক্ষতিপূরণ দেবেন নাকি সরকার সে ক্ষতিপূরণ আদায় করে দেবেন সেসব বিষয় ওই দপ্তরের লোকজনের জানা থাকার কথা। তারা কি কিছু বলবেন?
মৌলভীবাজার জেলা সড়ক মহাসড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী উতপল সামন্ত বলেছেন মৌলভীবাজার থেকে রাজনগর-ফেঞ্চুগঞ্জ হয়ে সিলেট পর্যন্ত রাস্তাটি ৩০/৪০টন ওজনের গাড়ী চলাচলের জন্য তৈরী ছিল না। ভারী যান চলাচলের কারণে রাস্তার যে ক্ষতি হয়েছে তা মেরামতে কিলোমিটার প্রতি ১০/১২কোটি টাকা করে লাগবে। রাস্তার এমনতর দশা মৌলভীবাজার শহরে কিংবা তার বাইরে এই প্রথম ঘটলো বলে মনে হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী বিগত ৪৪ বছরের মধ্যে এই প্রথম চোখে পড়ছে শহুরে রাস্তার এমনতর হাল। এতে ঠিকাদারদের পুয়াবারো হলেও সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রায় যে বিপদ আর বিভ্রাট পেছনে পেছনে ঘুরবে তা আর ঢাক-ঢোল বাজিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না। একমাত্র সুষ্ঠু তদারকি ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষনে গাফিলতি ই যে মূল কারণ তার জন্য সাক্ষী খুঁজার প্রয়োজন নেই।
একি উদাসীনতা নাকি দায়ীত্বহীনতা? আমরা ভাল করেই জানি আর অতীতেও দেখেছি এমনতরো কোন কিছু খুব চতুরতার সাথে সৃষ্টি করা হয় যা’তে কিছু বড় অংকের মঞ্জুরী পাওয়া যায়। আমরা এ্ও জানি, এখন দু’দিন দেরি হলেও একটা মঞ্জুরী আসবে রাস্তার সুরতহাল ঠিক করার জন্য। কিন্তু মেরামত শুরু না হওয়া পর্যন্ত জনদূর্ভোগের দায়ভাগ কার হবে? এর জবাবদিহীতা কে করবে? আর কত আমরা এ নমুনার দায়ীত্বহীন হয়ে চলবো শুধুমাত্র নিজেদের আখের গোছানোর জন্য?