মুক্তকথা প্রতিবেদন।। বেশীদিন আগের নয়। নতুন কিছুও নয়। বরং অনেক পুরোনো কাসুন্দিই বলতে হয়। ২০১৯ সালের জুলাই মাসের ছবি এটি। ১৪ জুলাই ‘ন্যাশনেল জিওগ্রাফিক’ এটি প্রকাশ করে। ছবির ভাষা ছিল-“পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় এবং বেআইনীভাবে চোরাগুপ্তা পথে গাছ কাটার কারণে উজাড় হচ্ছে সুন্দরবনের বনভূমি যা কি-না ভারত ও বাংলাদেশের সাগর উপকূলের বিশাল অংশকে ভাঙ্গন ও বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করে আসছে যুগ যুগ ধরে। অনেকটা বিপন্ন সুন্দরবন।
সুন্দরবন একটি প্রাকৃতিক দেয়াল। হাজার হাজার বছর ধরে হিমালয় বাহিত জলস্রোতের সাথে সাগরের মিলন তীর্থ এ সুন্দরবন। কত শত-সহস্র বছরে গড়ে উঠেছে এ প্রাকৃতিক দেয়াল তার কোন হিসেব কারো কাছে আছে বলে আমাদের জানা নেই। তবে একে উজাড় করে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করার সদলোকের অভাব নেই। পাকিস্তানী আমল থেকে শুরু করে অদ্যাবদি সুন্দরবন রক্ষায় কত নমুনায় কত আন্দোলন হয়েছে তারও হিসেব মনে হয় না কেউ রেখেছে বলে। তবে আমাদের জানামতে বলতে গেলে পুরো উনবিংশ শতাব্দীর একটি বিশাল ব্যাপ্তির সময় নিয়ে সুন্দরবন রক্ষায় আলাপ হয়েছে, হয়েছে আন্দোলন। কিন্তু আজও দৃশ্যমান কিছু হয়নি।
বিশ্বের উষ্ণতা বাড়ছে। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ‘ন্যাশনেল জিওগ্রাফি’ এন্টার্কটিক উপদ্বীপের একটি ছবি দিয়ে লিখেছিল উষ্ণতার কথা। ওখানে তাপমাত্রা বাড়ছে ফলে পরিমানে বেশী বরফ গলছে। আর বরফগলা সে পানি সাগরজলের উচ্চতা বাড়াচ্ছে।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে পুরো একটি শতাব্দী ধরে আন্দোলনের ফসল হিসেবে সত্যিকার অর্থে সুন্দরবন রক্ষায় স্থানীয় কিংবা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কেউই কোন শক্তিশালী পদক্ষেপ বা প্রকল্প হাতে তুলেননি। শুধু কথার ফুলঝুড়ি বিলিয়ে গিয়েছেন এবং যাচ্ছেন। তলে তলে এই সুন্দরবন রক্ষার নামে কে কোথায় কত খরচ করেছেন তার হিসেব আমাদের মত মানুষকে কেই বা জানাবে। তবে আমরা অনুমান করতে পারি এ খাতেও খরচ হচ্ছে। আর এদিকে দিন দিন তিলে তিলে উজাড় হচ্ছে প্রকৃতির আশীর্বাদ আমাদের সুন্দরবন।