1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
চেয়ার পাওয়ার আগেই কেড়ে নেয়ার হুমকি! - মুক্তকথা
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন

চেয়ার পাওয়ার আগেই কেড়ে নেয়ার হুমকি!

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৬
  • ৩৯১ পড়া হয়েছে

হারুনূর রশীদ।।

1478712215susanne.posel-headline.news_.official-civil.war_.trump_.gop_occupycorporatism-890x395_cতাকে ডাকা হয় ভবিষ্যৎ বাণীর শিক্ষক বলে। আর হ্যাঁ ডাকার কথাও বটে। ১৯৮৪ সাল থেকে ২০১৬ সালের গেল নির্বাচন পর্যন্ত প্রায় সবক’টি নির্বচনে, কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন? তার দেয়া ভবিষ্যৎ বাণী অক্ষরে অক্ষরে পাওয়া গেছে। এবারও তিনি আগাম বলেছিলেন নির্বাচনে মিঃ ডনাল্ড ট্রাম্প জিতবেন। ভীষম বিরুদ্ধ প্রচারণা থাকার পরও তিনি জিতে গেছেন অবলীলায়! দুনিয়ার সকল বাঘা বাঘা জরিপকারী সংবাদপত্র, লেখক, কলামিষ্ট আর ভবিষ্যৎ বক্তার মুখে চুন-কালি দিয়ে ডনাল্ড ট্রাম্প ঠিকই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে গেছেন। ‘এল্লান লিচমেন’ নামের এই ভবিষ্যৎ বক্তার কথায় পড়ে আসছি। তার আগে একটু ভেবে দেখে নেই ট্রাম্প জিতলেন কিভাবে? আর তার এই বিজয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কারা এবং কেনো?

বিশাল বিশাল অধ্যাপকদের মত কঠিন কঠিন ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করে কোন বিষয়ে নিজের অভিসন্ধিমূলক ফিরিস্তি দিতে আমি কোনদিনই পছন্দ করিনা। আসলে কোন বিষয়ে একটু আগাম বলতে চাইলে তা পারা সম্ভব, বলা যায়। তার জন্য অবশ্যই সেই বিষয়টির উপর নজর রাখতে হয় এবং চলমান দুনিয়ার হালচাল বিষয়ে ওয়াকেবহাল থাকতে হয়। তার জন্য কোন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ কিংবা বিশ্বজোড়া সুনামের অধিকারী কোন সংবাদ মাধ্যমের ইয়া বড় গোঁফ ওয়ালা বা সাদা ধবধবে দাড়িওয়ালা পন্ডিত নামধারী কেউ না হলেও এসব আগাম কথা বলা যায়। যেকোন সনদই থাকলে ভাল আবার না থাকলেও চলে। থাকতেই হবে এমন নয়।

এতোকিছু বলার উদ্দেশ্য হল, বহুকাল ধরে দেখছি বাঘা বাঘা সংবাদ মাধ্যমের জরিপ গুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্ন নির্বাচনের উল্টো ফলাফল হয়ে আসছে। কেনো এমন হয়? আমার সাধারণ জ্ঞান বলে, এরা যারা জরিপ করেন বা ভবিষ্যৎ বাণী করেন তাদের অধিকাংশই নিজেদের স্বার্থের উর্ধে উঠে এসব কাজ করতে পারেন না। কোন না কোন কারণে কোন না কোন পক্ষ নিয়েই এরা তাদের জরিপ চালান বা বাণী বাজারে ছাড়েন(অবশ্যই অল্প কিছু সংখ্যক বাদে)। এসবের পেছনে তাদের নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থ জড়িত থাকে। ফলে তারা চলমান সত্যকে খুঁজেন না। খুঁজেন নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষনের পথ।

খুব সাদামাটাভাবে যদি আমরা দেখি, তা’হলে মহাশয় ট্রাম্পের বিজয়ের কারণ হিসাবে আমি তিনটি বিষয়কে দেখি।
একটি, তিনি ধনবান ব্যক্তি, একজন সফল ব্যবসায়ী। কখনও ঘনিষ্টভাবে রাজনীতির ধারে-কাছেও ছিলেন না।
আরেকটি, যেকোন কারণেই হোক ট্রাম্প, মধ্যপ্রাচ্য সহ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে আমেরিকার যুদ্ধবাজী ভূমিকার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, রুশ নেতৃত্বকে তিনি পছন্দ করেন। আমেরিকার প্রতিষ্ঠিত বিশ্বরাজনীতি কৌশলের সংস্কার চান।
অপরটি হলো, দেশের ভেতরে অবস্থারত বিদেশীদের বিশেষকরে যারা অবৈধ তাদের তিনি পছন্দ করেন না, বলেছেন সম্ভব হলে এদের বের করে দেবেন, না হলে নিদেনপক্ষে এদের আটক করবেন। প্রয়োজনে মেক্সিকো সীমান্তে ওয়াল তুলবেন।

একটি বিষয় আমরা সকলেই জানি ও বুঝি যে, আধুনিক মানব সমাজে যে কোন ক্ষেত্রে যে কোন ব্যক্তির নির্বাচনে, নির্বাচনকারী মানুষজন প্রথমে দেখে সেই মানুষটিকে দিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো করানো যাবে কি-না। এবং একাজে ওই মানুষটিকে সহজেই নিজের করে পাবে কি-না? এর পরে দেখে ওই মানুষটি তাদের সেই কাজটি করতে পারবে কি-না। এ দু’টো বিষয় মন থেকে খুঁজে দেখেনা এমন কেউ থাকতে পারে তা মানুষের সাধারণ জ্ঞান বলেনা।

এই মাপকাটিতে বিচার করলে যেকোন জনই বলে দিতে পারবে ট্রাম্প কেনো জিতলেন।

রিপাবলিকানরাসহ আমেরিকার এক পক্ষ সাধারণ মানুষ, সুদীর্ঘকালব্যাপী রিপাবলিকানদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রায় ৬ দশক পরে ১৯৯৩ সালে উইলিয়াম জেফারসন বিল ক্লিন্টন রিপাবলিকানদের সে ঐতিহ্যকে খন্ডন করেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে। সুদীর্ঘ কালের দেশ পরিচালনার অনুশীলনে রিপাবলিকানরা যেমন অভিজ্ঞ হয়েছিল তেমনি দেশের ব্যাপক সাধারণ মানুষকেও তাদের অনুসারী করে তুলেছিল। মধ্যপ্রাচ্য সহ বিশ্বের দেশে দেশে মার্কিণ পুঁজির বিনিয়োগ ও সংরক্ষনে রিপাবলিকানরা করেনি, এমন কাজ নেই। বড় বুশ কর্তৃক মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ যুদ্ধের পর মানুষ রিপাবলিকানদের পাল নামিয়ে নেয়। কিন্তু যে ডেমোক্রেটগন যুদ্ধের বিরোধীতা করতো সেই ডেমোক্রেট বিল ক্লিন্টনকে পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। সেই রিপাবলিকানরা নিজেদের চরিত্র থেকে অতীতের যুদ্ধ আর নরহত্যার কালিমা মোচে দেবার লক্ষ্যে এবার পছন্দ করে, অরাজনীতিক শুধুই একজন ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ট্রাম্পকে পছন্দ করার পেছনে রিপাবলিকানদের আর কোন বিশেষ উল্লেখযোগ্য কারণ খুঁজে পাবেন না। সর্বোপরি ট্রাম্প রাজনীতি অঙ্গনের মানুষ নন অতএব তাঁকে ইচ্ছেমত কাজে লাগানো যাবে। তথা ব্যবহার করা যাবে।

অর্থনৈতিক রাজনৈতিক উভয় কারণেই বৃটেনের সাথে আমেরিকার ইদানিং খুব ভাল সম্পর্ক যাচ্ছে না। ফলে বৃটেনের শত্রু রাশিয়ার সাথে যদি একটি নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা যায় তা আমেরিকা তথা রিপাবলিকানদের জন্য খারাপ কিছু নয় বরং ভাল। আর ট্রাম্পও পুতিনের দেশে পুঁজি খাটাতে ইচ্ছুক। কারণে অকারণে পুতিনের গুনগান করেন। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে জিইয়ে রাখা যুদ্ধগ্লানি কিছুটা হলেও কমবে যা আমেরিকানদের নতুন করে দুনিয়া নিয়ে ভাবার সুযোগ দেবে।

দেশের অভ্যন্তরে অবাধ বিদেশী আগমন বেশী ঘটেছে বিল ক্লিন্টনের আমলে। যা আন্তরিকভাবে রিপাবলিকানরা চায় না। মনের দিক থেকে তারা বিদেশীদের একটা অংশকে দেশ থেকে তাড়াতে চায়। কিন্তু কি ভাবে? ট্রাম্পের বক্তব্য তাদের সে চাওয়ার পথ খোলাশা করে দিয়েছে। ট্রাম্পও চান বিদেশী তাড়াতে। সুতরাং আমেরিকানরা বিশেষকরে রিপাবলিকানরা ট্রাম্পকেই ভোট দিয়েছেন। এখানে অবাক হবার কোন কারণ আছে কি?

 এখন যদি ট্রাম্প কথামত কাজ না করেন তা’হলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর প্রয়াস চালানো হবে। আর সেই ভবিষ্যৎ বাণী বাজারে ছড়িয়েছে রিপাবলিকানরাই ওই “এল্লান রিচমেন” এর মাধ্যমে যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে “ইমপিচমেন্ট” আসতে পারে! কারণ নিম্ন পরিষদ ও সিনেটে রিপাবলিকানরাই একচ্ছত্র আধিপত্যে আছেন।

লন্ডন, শুক্রবার ২রা অগ্রহায়ণ
১৮ই নভেম্বর ২০১৬

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT