লন্ডন: মঙ্গলবার, ২০শে অগ্রহায়ণ ১৪২৩।। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা সোমবার গভীর রাতে মারা গেছেন চেন্নাইয়ের এপোলো হাসপাতালে। ওই হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার বিকেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থেকে প্রয়াত হন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন জয়ললিতা। দীর্ঘদিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর সুস্থ হয়ে উঠলে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। দলের পক্ষ থেকে তার সুস্থ হয়ে ওঠার খবর ঘোষণা করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে আবার রবিবার বিকেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর সোমবার গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়।
তার মৃত্যুতে রাজ্যজুড়ে শোক নেমে এসেছে। হাসপাতালের বাইরে হাজার হাজার ভক্ত-সমর্থক জড়ো হয়েছেন। জয়ললিতা ছিলেন তাদেরই মানুষ। রাজ্যের লাখো মানুষের কাছে তিনি ‘আম্মা’ নামেই পরিচিত ছিলেন।
১৯৪৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মহীশূরের মেলুকোটে জন্ম নেয়া জয়ললিতা প্রথম জীবনে চলচ্চিত্রের নায়িকা ছিলেন। পরে ১৯৮২ সালে এআইএডিএমকে দলে যোগ দেন। এরপর ১৯৮৪ সালে রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে প্রথম বিরোধী দলীয় নেতা হন। এরপর ১৯৯১ সালে প্রথম বারের মত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হন।
তিনি ছিলেন তামিলনাড়ুর দ্বিতীয় নারী মুখ্যমন্ত্রী। ২০০১ সালে আবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলেও ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয়। ২০০৩ সালে আবার মুখ্যমন্ত্রিত্বে ফেরেন তিনি। এরপর ২০১১ সালে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন এআইএডিএমকের এই নেত্রী।
২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির দায়ে ৪ বছরের জেল হয় তার। মুখ্যমন্ত্রীর পদও হারান। একমাস পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান। এরপর ২০১৫ সালের ১১ মে কারাদণ্ড মওকুফ করে কর্ণাটক হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে আবার মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হন জয়ললিতা। পরে ২০১৬ সালে চতুর্থ বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন তামিলদের ‘আম্মা’ জয়ললিতা। (জাগরণ থেকে)