প্রাণীটি কোলা ব্যাংগ। কিন্তু অদ্ভুত হলেও সত্য যে, দেখতে অবিকল শূকরমুখী! অদেখা এই প্রানীটি জীবনের বেশীরভাগ সময় কাটায় পাতাল দেশে। কেবলমাত্র বৃষ্টি-বাদলের সময় বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে যৌণকর্মের জন্য ভূগর্ভ থেকে উপরে উঠে আসে।
বিরল এই প্রাণীটি ভারতের পশ্চিমঘাট পার্বত্য অঞ্চলে মেঘ মৌসুমে মাঝে মাঝে দেখা যায়। চমকপ্রদ এই আবিষ্কারের খবরটি গত ২৫ আগষ্ট, ২০১৭ তারিখে ‘এটলাসঅব্সকোরায়’ লিখেছেন কেলসি কেনেডি। সরীসৃপবিদগন এই জাতীয় ব্যাংগকে ‘ভূপতির বেগুনি ব্যাংগ’ বলে নাম দিয়েছেন। ভারতীয় সরীসৃপবিদ ডঃ সুব্রামানিয়াম ভুপতি, ২০১৪ সালে এই পার্বত্য অঞ্চলে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তাই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ব্যাংগের এই নাম।
এই ব্যাংগের মুখের অবয়ব পুরোপুরি শূকরের মুখের মত। এর চোখের পুতলির চারদিকে গোল নীলাভ রং রয়েছে। গায়ের রং মেটে বেগুনি। গত ২৪ আগষ্ট ‘ন্যাশনেল জিওগ্রাফিক’ ম্যাগাজিনে জেসন বিটেল নামে একজনের লিখার আগ পর্যন্ত আধুনিক বিজ্ঞানের কাছে এই প্রাণীটি অনাবিষ্কৃতই ছিল।
উভচর এই প্রাণীটিকে দেখতে শারীরিক বৈপরীত্ব যা ঘটেছে অগুণতি কালের পল পল পরিবর্তনের কারণে বলেই সরীসৃপবিদগন মনে করছেন। শূকরের মত লম্বাটে মুখ, শূকরের চোখের মত ছোট ছোট চোখের চারদিক ঘিরে নীলাভ রং আর সরু শারীরিক অবয়ব ও শক্ত বক্ষতল যা, ‘ভূপতি’ নামের এই ব্যাংগকে সারাজীবন ধরে পাতালে বেঁচে থাকতে সহায়তা করে বলেই বিজ্ঞানীদের ধারণা।
‘এলিটস’ জার্নালের নতুন বিষয় পর্বে লিখতে গিয়ে আমেরিকার সরীসৃপবিদ এলিজাবেথ প্রেন্দিনি, ‘ভুপতি’ নিয়ে বলেন, এই উভচর প্রাণীকে খানা-খাদ্যের জন্য ভূগর্ভ থেকে উপরে উঠে আসতে হয় না। ওর লম্বা জিহ্বা দিয়ে ভূগর্ভের কীট, উঁলুপিঁপড়ে এগুলো খেয়েই জীবন ধারণ করতে পারে। সূত্র ও সংগ্রহ: ন্যাশনেল জিওগ্রাফিক ও এটলাসঅব্সকোরা।