ফেইচবুক সংবাদ।। সন্ত্রাসী হামলার পর মৌলভীবাজার শহরে এখন উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। গত কাল রাত ৭-৮টার দিকে মৌলভীবাজারে সন্ত্রাসী দুর্বৃত্তদের হামলায় কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় স্বাগত-এর স্ত্রী জোনাকী দাস চৌধুরী আজ ২৩শে সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে নিজে বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম সুমনকে প্রধান আসামী করে মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে নালিশ দাখিল করেছেন।
মামলার নালিশে তিনি লিখেছেন কাউন্সিলর স্বাগত দাসের সঙ্গে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সুমনের টাকা পয়সা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে সুমন তার নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বাগত কিশোর দাসের পৌর শহরের সৈয়ারপুরস্থ বাসায় অতর্কিত এক হামলা চালায়। মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি সোহেল আহমদ বলেন, এই ঘটনায় সুমনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন তার স্ত্রী।
মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত স্বাগত চৌধুরী, মৌলভীবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক। স্বাগত দাস চৌধুরী মৌলভীবাজার শহরের সুখ্যাত একটি পরিবারের সন্তান।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় সৈয়ারপুরস্থ তার নিজ বাসায়। এঘটনায় পরিবারের যে চারজন আহত হয়েছিলেন তারা হলেন- তন্বী দাস চৌধুরী, জুনাকি দাস চৌধুরী, বাঁধন দাস চৌধুরী ও রুমি দাস চৌধুরী।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে তাৎক্ষনিক মেঝেতে পড়ে যান কাউন্সিলার স্বাগত। এসময় তিনি মারা গেছেন ভেবে বাসার আসবাবপত্র ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার পর আহতদের চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এসে তাৎক্ষনিক আহত স্বাগত কিশোর দাস ও অন্য ৪ জনকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয় এবং চিকিৎসা দেয়া হয়। এক পর্যায়ে স্বাগত কিশোরের অবস্থা আশংকাজনক হলে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শহরের সুশীল শান্তিপ্রিয় মানুষজন, শহরের একটি ভদ্র সুখ্যাত পরিবারের বাসায় এ নমুনায় রাঁতের আঁধারে অনুপ্রবেশ করে সশস্ত্র সন্ত্রাসী আক্রমনকে কোনভাবে মেনে নিতে পারছেন না। অনেকেই আমাদের কাছে টেলিফোনে এ বর্বর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তাঁদের অনেকেরই কথা, এভাবে রাজনীতির ছত্র-ছায়ায়, আইন হাতে তুলে নিয়ে শান্তিপ্রিয় এই শহরের শান্তিভঙ্গ কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। তারা এ ঘটনার কঠিন শাস্তিমূলক বিচারের দাবী করেছেন যাতে ভবিষ্যতে কেউ, সে যে-ই হোক, এভাবে আইন হাতে তুলে নিতে সাহসী না হয়। এই ঘটনায় শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।