মৌলভীবাজার অফিস।। সংগঠনের নিয়ম বহির্ভূত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানকে হুশিয়ারী দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটি। কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব হুশিয়ারী উল্যেখ করা হয়। স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মৌলভীবাজার সদর, পৌরসভা ও রাজনগর উপজেলায় বিএনপি’র বৈধ কমিটি সমূহ দলের সকল কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। পৌরসভা ও দুটি উপজেলায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমানের নির্বাচনী
এলাকা। ওই এলাকায় স্ব স্ব বৈধ কমিটির বিপরীতে তিনি পাল্টা কমিটি ঘোষনা করতে লিপ্ত রয়েছেন। এসব কার্যকলাপে বিএনপির ভোটাররা বিভ্রান্ত হচ্ছেন যা আগামী নির্বাচনে দলের জন্য ক্ষতিকর।
বিষয়টি দলের কেন্দ্রিয় নের্তৃবৃন্দ অবহিত হয়েছেন। কিন্তু এসব কমিটি গঠনের এখতিয়ার মিজানুর রহমান মিজানের নেই। পাশাপাশি তিনি একক ক্ষমতাবলে এসব কমিটি গঠন করতে পারেননা। এরূপ কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য মিজানকে নির্দেশ প্রদান করা হলো। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ওই চিঠিতে বলা হয়।
এদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান এর সাথে বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে আলাপচারিতা হয় রোববার দুপুরে। তিনি বলেন, কেন্দ্রের তরফ থেকে এব্যাপারে এখনো কোন চিঠি পাইনি। মৌলভীবাজার-৩ আসনে(পৌরসভা, সদর, রাজনগর উপজেলা) নির্বাচনী এলাকায় জেলা বিএনপির সভাপতি এক মাস আগে গিয়ে এককভাবে কমিটি ঘোষনা করেছেন। যা বৈধ নয়। সভাপতি-সম্পাদকের স্বাক্ষর থাকলে কমিটি বৈধ হতো।
এছাড়াও কমলগঞ্জ, কমলগঞ্জ পৌরসভা, শ্রীমঙ্গল, শ্রীমঙ্গল পৌরসভায়ও তিনি একক ক্ষমতাবলে নতুন কমিটি ঘোষনা করেছেন। যা তার এককভাবে দেয়ার এখতিয়ার নেই। এখানে সবগুলো কমিটি অবৈধ। চিঠি পেলে আমি সেন্ট্রালে গিয়ে বিষয়টি জানাবো। এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান-এর সাথে মুঠোফোনে কথা হয় রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায়। তাৎক্ষনিক ফোনটি রিসিভ করেন উনার পিএস শাহজান সিরাজ। তিনি বলেন, স্যার একটি মিটিংয়ে আছেন। আপনী বলুন, আমি স্যারকে গিয়ে বলবো। হুশিয়ারী চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রের তরফ থেকে চিঠিটি জেলা বিএনপির সম্পাদককে দেয়া হয়েছে। এটির অনুলিপি সংশ্লিষ্টদের দেয়া হয়েছে।