সংবাদ সংস্থার শিরোনাম- “সেনা পাঠালে জ্বলবে মালদ্বীপ, হুমকি চীনের।” এই শিরোনাম দিয়েই সংবাদ সংস্থার খবরের শুরু। মালদ্বীপের বিরোধীদের অভিযোগ, সে দেশের উদ্ভূত সঙ্কটের পিছনে বেইজিংই উস্কানি দিচ্ছে। ক্ষমতায় এসেই একগুচ্ছ চীনা প্রকল্পে সম্মতি দিয়েছিলেন ইয়ামিন। বেইজিংয়ের সঙ্গে বিতর্কিত ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’তেও সায় দিয়েছে তাঁর সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাই ইয়ামিনকেই ক্ষমতায় রাখতে চাইছে চীন। ‘সংবাদ সংস্থা’র এমন ব্যাখ্যা তুলে ধরে লিখেছে ভারতের প্রখ্যাত আনন্দবাজার পত্রিকা।
অবশ্য একজন চীনা মুখপাত্র আজ এ সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে বলেছেন, মালদ্বীপের সঙ্গে বরাবরই তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। আর মুক্ত বাণিজ্য নীতির কারণে দু’পক্ষই লাভবান হয়েছে। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে আজ অবশ্য ইয়ামিন সব আন্তর্জাতিক সংস্থাকে মালদ্বীপের পরিস্থিতি দেখে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন।
এদিকে গত কাল ভারতের কাছে সামরিক হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ। আজ এই প্রেক্ষিতে ভারতের নাম না-করেই চীনা পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেছেন, ‘‘এটা ওদের ঘরোয়া সঙ্কট। তাই সেনা পাঠিয়ে জটিলতা বাড়ানো অর্থহীন। বরং মালদ্বীপের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করাটাই এখন সব চেয়ে জরুরী।’’ এখনই সেনা পাঠালে মালদ্বীপের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে বলে তার অভিমত।
আনন্দবাজার আরো লিখেছে, জরুরি অবস্থায় জেরবার দ্বীপরাষ্ট্র। পার্লামেন্টে পুলিশ। আর হাজতে প্রধান বিচারপতি। এ দিকে চাপের মুখে কাল রাতে ইউ-টার্ন নিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও। রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার যে রায় নিয়ে অশান্তির শুরু, কাল শীর্ষ আদালত নিজেই তা খারিজ করে দিয়েছে। ফলে মালদ্বীপের সার্বিক অবস্থা যে খুব একটা ভাল নয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।