সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার ও সিলেটের বিশ্বনাথে একব্যক্তি দু’টি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্টানে দায়িত্ব পালন করছেন। এনিয়ে দু’জেলার সর্বত্র ব্যাপক কানাঘুষা শুরু হয়েছে।
জানা যায়, বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের সমশর আলীর পুত্র আব্দুল মুকিত লামাকাজি ইউপির রেজিস্ট্রার্ড নিকাহ রেজিষ্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই ব্যক্তি দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের চামতলা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সহ-সূপার পদে কর্মরত রয়েছেন। অথচ চামতলা এলাকা থেকে লামাকাজির দূরত্ব হচ্ছে প্রায় একশ’ কিলোমিটারের অধিক। একই সময়ে একই ব্যক্তি দু’কর্মস্থলে তিনি কিভাবে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করেন তা- রহস্যজনক। যাহা মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা ২০০৯ (২০) এর পরিপন্থি। বিধিমালা ২০-এ বলা হয়, চাকুরি গ্রহণের ক্ষেত্রে বাঁধা-নিষেধ। কোন নিকাহ রেজিস্ট্রার তাকে যে এলাকার জন্য লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে সে- এলাকায় বা উক্ত এলাকা সংলগ্ন কোন ওয়ার্ড, পৌরসভা বা ইউনিয়নের কোন মসজিদ অথবা বেসরকারি স্কুল, কলেজ অথবা বেসরকারি মাদরাসা ব্যতিত অন্য কোথায়ও চাকুরি করতে পারবেনা। কিন্তু এসব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি দু’কর্মস্থলে চাকুরি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এব্যাপারে চামতলা মাদরাসার ছাত্রছাত্রীও অভিবাবকবৃন্দ গত ১৫ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এব্যাপারে আব্দুল মুকিত দু’কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়ে আপাতত ব্যস্ত থাকারঅজুহাতে তিনি মোবাইলটি কেটে দেন।