মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।। মৌলভীবাজার মেডিকেল এ্যসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল(ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবীতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল স্টুডেন্ট’স এ্যসোসিয়েশনের এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গত রোববার সকালে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব। লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৬ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় অনুমোদিত, রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক অধিভুক্ত, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল স্বীকৃত মেডিকেল এ্যসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল(ম্যাটস)এর মাধ্যমে ‘ডিএমএফ’ ডিপ্লোমা চিকিৎসা পেশা কোর্স টি প্রথম যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে প্রায় ৮টি সরকারি ও ২০৯টি বেসরকারি ম্যাটস প্রতিষ্টানে প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী এবং প্রায় ১২ হাজার ডিপ্লোমা চিকিৎসক বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্র সহ জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ থেকে অর্জিত কোর্স সমূহকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন না করায় আমাদের উচ্চ শিক্ষার পথরুদ্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে এই অনুষদ থেকে সনদ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বহির্বিশ্বে শিক্ষা অর্জন এবং কর্মসংস্থানের কোন সুযোগ থাকেনা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ডিপ্লোমা চিকিৎসা শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং যুগোপযোগী করার জন্য বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদকে বিলুপ্ত করে “বাংলাদেশ এ্যালাইড হেলথ প্রফেশনাল” শিক্ষাবোর্ড নামে একটি বোর্ড গঠন করে। কিন্তু উল্লেখিত বোর্ডের শিরোনামে এলাইড হেলথ প্রফেশনাল শব্দ গুলো ম্যাটস শিক্ষার্থী ও ম্যাটস থেকে উত্তীর্ণ ডিএমএফ সনদধারী ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের পেশার জন্য সাংঘর্ষিক। “এমতাবস্থায় আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক ২০০৯ সালের গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ নামে শিক্ষাবোর্ড গঠন করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। সেই সাথে কমিউনিটি ক্লিনিকে সরকারি ভাবে ১০ম গ্রেডে নিয়োগ ও বেসকারী ক্লিনিক/হাসপাতালে ম্যাটস থেকে উত্তীর্ণ ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের পদ সৃষ্টি ও বাস্থবায়ন করতে হবে এবং আমাদের ইন্টার্ণ ভাতা প্রদান করতে হবে”।
লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ আছে যে, সকল ম্যাটস শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবী উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক সৃষ্ট ডিএমএফ ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের জন্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ন্যায় “ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ এর মতো স্বতন্ত্র মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা। যাতে তারা উচ্চ শিক্ষিত হয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা খাতকে জনগণের দোড় গোঁড়ায় পৌছে দিতে পারেন।
এই অবস্থায় তাদের উপরোক্ত ৪ দফা দাবীতে বিগত ১৮ই মে ২০১৭ইং সারা দেশের ম্যাটস শিক্ষর্থীরা ঢাকামুখী লংমার্চ করে এবং প্রায় ৫ ঘন্টা ঢাকাস্থ শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখলে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাটস শিক্ষার্থীদের দাবীগুলো যৌক্তিক আখ্যায়িত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপ সচিবের সমন্বয়ে একটি প্রতিবেদন টিম গঠন করে পরবর্তী ৩০দিনের মধ্যে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। কিন্তু আশ্বাস প্রদানের দীর্ঘ ১১ মাস অতিবাহিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তা বাস্তবায়নের কোন তৎপড়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা।
তাই দীর্ঘদিন যাবত লক্ষাধিক ম্যাটস শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে তাদের যৌক্তিক দাবী পূরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সেই সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়, আগামী ৫ মে এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে যদি গঠনমূলক কোন তৎপড়তা প্রকাশ না পায় তাহলে সারা দেশের লক্ষাধিক শিক্ষার্থী রাজপথ বেছে নিবে এবং আগামী ৬ মে ২০১৮ ইং সারাদেশে একযোগে প্রতি জেলায় জেলায় ছাত্র ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করবে। পরবর্তীতে দাবী পুরন না হলে কঠোর কর্মসূচির ডাক দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ম্যাটস মৌলভীবাজারের বিপুল পরিমান শিক্ষার্থীর সরব উপস্থিতি সমস্যার গভীরতারই জানান দেয়।
বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উপলক্ষে
বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ ২৪-৩০ এপ্রিল ২০১৮ উপলক্ষে মৌলভীবাজারে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্টিত হয়ে গেল সোমবার দুপুরে। জেলা সিভিল সার্জন অফিস এর আয়োজনে কনফারেন্স রুমে (ইপিআই ভবন) আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. আবু জাহের। এময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বায়জিদ খাঁন, ডা.বিনেন্দু ভৌমিক,ডা. এম ইয়াইয়াহ,ডা.জয়নাল আবেদিন টিটু,ডা.বর্নালী দাস। এছাড়াও এ্যাডভোকেসি সভায় সাংবাদিক,ব্র্যাকপ্রতিনিধ,স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মৌলভীবাজরে আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস পালিত হলো। দিবসটি উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে রোববার সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ নৃত্যসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশরাফুর রহমান সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এমদাদুল হক মিন্টু, জেলা নৃত্যশিল্পী সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা এ এইচ এম সাহাব উদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য দেন কালচারাল অফিসার জ্যোতি সিনহা। অনুষ্টানে জেলা শিল্পকলা একাডেমি,সপ্তস্বর সঙ্গীত বিদ্যাপীঠ, মইনউদ্দীন একাডেমির শিল্পীরা অংশগ্রহণ করে। নৃত্যানুষ্টানে কথক, ভরত, মণিপুরি, সৃজনশীল ও লোকনৃত্য পরিবেশন করা হয়। অনুষ্টান পরিচালনা পরিচালনা করেন নাজিয়া আক্তার চৌধুরী এবং দ্বীপ দত্ত আকাশ।