লণ্ডন।। সুকান্তের অবাক করা পৃথিবীতে, অত্যাশ্চর্য্য আর রোমাঞ্চকর কত কিছুই না আছে। উপর থেকে দেখে রোমাঞ্চের শিহরণে নির্বাক হওয়ার মত তেমনি একটি জায়গা হল ফিলিপাইনের বুহল দ্বীপ। সে এক অব্যক্ত আদেখা দৃশ্য। উপর থেকে কিংবা দূর থেকে দ্বীপটিকে দেখলে মনে হবে যেনো কোন বিশাল খড়ের আড়ত। অসংখ্য খড়ের ফেইন বা গাদায় ভরা দ্বীপটি। হাজার হাজার খড়ের গাদা।
সকলেই জানে যে,
শত-সহস্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশ ফিলিপাইন। বুহল দ্বীপ ফিলিপাইনের এক বিস্ময়। শুধু ফিলিপাইনের নয় ‘বুহল’ সারা বিশ্বের বিস্ময়! তাই বুহল দ্বীপ ফিলিপাইনের জন্য অর্থকরিও বটে। দুনিয়ার আর কোথায়ও এতো ঘন উঁচু নিচু ছোট ছোট পাহাড় নিয়ে কোন দ্বীপ নেই। উপর থেকে দেখলে মনে হবে অপূর্ব সুন্দর গোধুলি রংয়ের ছোট ছোট সারি সারি ঢিবি। সে এক নান্দনিক দৃশ্য। এমন বহু ব্যঞ্জন মেশানো ব্যাখ্যাও গণমাধ্যমগুলোর।
বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালে এ দ্বীপকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিছু কিছু গণমাধ্যম লিখেছে, ঋতু অনুসারে সারি সারি এসব পাহাড়ের রং বদলায়। বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম লিখেছে, ঋতুর কোন এক সময় পাহাড়গুলো চকলেট রং ধারণ করে। সবচেয়ে নজরকাড়া এই চকলেট রং।
জানা গেছে, ফিলিপাইনের ওই দ্বীপে নাকি সর্বমোট ১,৭৭৬টি ছোট বড় পাহাড় রয়েছে। এই সব পাহাড়ের উচ্চতাও প্রায় একই রকম। মোটামুটি ৪০০ ফুটের কাছাকাছি।
বুহল দ্বীপের এই বিস্ময়কর প্রাকৃতিক গঠনের পেছনের কারণ হিসেবে গবেষকদের দু’টি মত। সকলেই একমত যে এমন প্রাকৃতিক গঠন আগ্নেয়োৎপাত থেকেই হয়েছে। হয়তো আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের পর ভেতর থেকে উঠে আসা লাভা ছড়িয়ে ছিটিয়ে এমন রূপ নিয়েছিল অথবা ভূপৃষ্ঠের ভেতরে আগ্নেয়গিরি ফেটে গিয়ে মাটির উপরিভাগ এমন বুদ্বুদের মত ফুলে উঠেছে।
সংগ্রহ: হারুনূর রশীদ