লণ্ডন।। আজ বুধবার পাকিস্তানে নির্বাচন শুরু হলে কোয়েটা শহরের একটি ভোটকেন্দ্রে আই এস’এর এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩০জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ হয়েছে।
পাকিস্তানের এ নির্বাচন শেষ পর্যন্ত প্রাক্তন বিশ্বকাপ ক্রিকেট গুরু ইমরান খানকে ক্ষমতায় আনতে পারে বলে ইসরায়েলসহ বেশ কিছু পশ্চিমা নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রচার কাজে পাক সামরিক বাহিনীর অহেতুন নাকগলানোর কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করেন।
জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আইএস’ (ইসলামিক স্টেট) তাদের ‘আমাক’(এএমএকিউ) বার্তা সংস্থায় হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা লিখেছে এক আত্মঘাতী হামলাকারী এ বোমা হামলা করেছিল। তবে তারা তাদের এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ প্রকাশ করেনি।
পাকিস্তানের ‘ডন’ পত্রিকার বরাত দিয়ে ‘নিউজ২৪.কম’ লিখেছে, বুধবার সকালে সারা দেশে ভোটগ্রহণ শুরুর পর বেলা ১১টার দিকে কোয়েটার ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায় একটি পুলিশ ভ্যান লক্ষ্য করে ওই বোমা হামলা চালানো হয়।
কোয়েটা সিভিল হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, হামলায় আহত ২০ জন তাদের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হতাহতদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকরাও আছেন।
“…স্থানীয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, হামলাকারী ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইছিল। পুলিশ তাকে ঠেকাতে গেলে সে নিজের শরীরে থাকা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটায়।” বিস্ফোরণের পর সেখানে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আজ বুধবার পাকিস্তানজুড়ে ২৭২টি আসনের সংসদ সদস্য ঠিক করতে ভোটগ্রহণ হয়েছে। সহিংসতা ও সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কায় ভোট কেন্দ্রগুলোর আশপাশে সকাল থেকেই নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা ছিল। তার মধ্যেই এ বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।