প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ, কমলগঞ্জ।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয় থেকে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে অংশগ্রহণ করে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী রোকেয়া বেগম। সে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের নগর (উত্তর তিলকপুর) গ্রামের দরিদ্র কৃষক রফিক মিয়া ও গৃহিনী মোছা: লুৎফা বেগমের একমাত্র মেয়ে। রোকেয়ার একমাত্র বড় ভাই ২০১২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় লেখাপড়া বাদ দিয়ে বাবার সাথে এখন কৃষিকাজ করে। রোকেয়া জানায়, সে পরীক্ষার পূর্বে মাত্র দুই মাস প্রাইভেট পড়েছিল। সে দৈনিক ৫/৬ ঘন্টা লেখাপড়া করতো। রোকেয়া ৫ম শ্রেণিতেও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। অদম্য মনোবল ও সাহস নিয়ে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ আত্মবিশ্বাসী রোকেয়া একাউন্টিং-এ অনার্স পড়তে চায় এবং ভবিষ্যতে সে চাটার্ড একাউন্ট্যান্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু দরিদ্র পিতার পক্ষে এতো টাকা খরচ করে মেয়েকে পড়ানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
তবুও রোকেয়ার অদম্য ইচ্ছা আর দৃঢ় মনোবলের নিকট হার মেনেছে দারিদ্রতার চরম কঘাষাত। ২০১৬ সালে এসএসসিতে ৪.৪৪ অর্জন করে কিছুটা হতাশ হলেও হাল ছাড়েনি রোকেয়া। জীবন যুদ্ধে হার না মানা রোকেয়া যেন উচ্চ শিক্ষা অর্জন থেকে ঝড়ে না পরে তার জন্য এগিয়ে আসতে হবে সমাজের বিবেকবানদের।
অনেক বাধার পরও দারিদ্রতার সাথে সংগ্রাম করে রোকেয়ার স্বপ্ন কি আদৌ পূরণ হবে? ভালো ফল করতে পেরে সে খুবই খুশি। ভবিষ্যতে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সবার আর্থিক সহযোগিতা। শুধুই কি অর্থর অভাবে দরিদ্র রোকেয়ার উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পূরণ হবে না? অদম্য মেধাবী রোকেয়ার স্বপ্ন কি ভেসে যাবে চোখের লোনা জলে? প্রশ্নগুলোর উত্তর তৈরী করা খুব একটা কঠিন কিছুনা যদি সমাজের সামর্থ্যবানেরা এই অসহায় স্বপ্নময়ীর সাহায্যার্থে একটু মানবতার এবং আন্তরিকতার হাত বাড়ান।