লণ্ডন।। মানুষ মানুষের জন্য। ব্রিটিশ নাগরিক জুলিয়ান ফ্রান্সিস তার জীবন্ত ইতিহাস। ১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানেয়াদের হাত থেকে প্রাণরক্ষায় ভারতে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশী শরণার্থীদের সহায়তা ও সেবায় এগিয়ে এসেছিলেন এই মানুষটি। ব্রিটিশ নাগরিক এই জুলিয়ান ফ্রান্সিস, মুক্তিযুদ্ধের ওই সময় সহায়তা ও সেবায় এগিয়ে আসা বিদেশীদের মধ্যে অন্যতম। বিপদ দিনের এই বন্ধুকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়েছে।
গত সোমবার, ২৩শে জুলাই গণভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে জুলিয়ান ফ্রান্সিসের হাতে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব সনদ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম।
তিনি বলেন, এসময় প্রধানমন্ত্রী জুলিয়ানের সেবামূলক কাজের প্রশংসা করেন। সনদ গ্রহণের পর জুলিয়ান বলেন যে এটা তার জন্য বিরল সম্মান। এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সাথে মেয়ে সায়মা হোসেনসহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলীও উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থী শিবিরে কাজের জন্য ২০১২সালে বিদেশি বন্ধুর সম্মাননা দেওয়া হয় জুলিয়ান ফ্রান্সিসকে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সাল থেকে ভারতের বিহারে উন্নয়ন সংস্থা অক্সফামের একটি প্রকল্পে কাজ করতেন ফ্রান্সিস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশ সীমান্তের রাজ্যগুলোতে শরণার্থীরা আশ্রয় নেয়; তখন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশীদের জন্য কাজ করেন তিনি।
১৯৯৮ সাল থেকে জুলিয়ান ফ্রান্সিস বাংলাদেশে বাস করছেন। বর্তমানে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার সমর্থনে এবং পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় রয়েছেন তিনি। সূত্র: যুগান্তর