মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর দুদিন বাকি। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে সাধারণ ভোটারসহ সংখ্যালঘুদের আতঙ্ক ততই বেড়েই চলেছে। এদিকে বিরোধী দল বিএনপির “ভোট কেন্দ্রে পাহারা বসানোর প্রস্তুতি এবং আ’লীগের “ভোট কেন্দ্র রক্ষার” ঘোষনায় সাধারণ জনগণ পড়েছেন ভয়ের মুখে। ভোট কেন্দ্রে যদি আদৌ কিছু ঘটে, এই ভেবে অনেক নারী ও বয়োবৃদ্ধ ভোটার ৩০ তারিখে ভোট কেন্দ্রমূখী হতে চাচ্ছেন না। সাধারণ ভোটারদের মতে এক পক্ষ যদি কেন্দ্র পাহারা দেয় আর অপর পক্ষ রক্ষায় ব্যস্থ থাকেন তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ কি? এই অবস্থায় ভোট কেন্দ্রে সাধারণ জনগণের “পাটা পুতাইল দিয়ে মরিচ পিশার মত”(মরিচ গুড়ো করা) একটা অবস্থা হবে বলে মনে করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৌলভীবাজার-৩(রাজনগর-সদর উপজেলা) আসনের অনেক বয়োবৃদ্ধ পুরুষ ও নারী ভোটাররা।
তা ছাড়া এই আসনের রাজনগর উপজেলায় পাহাড়-টিলা ও চা বাগান অধ্যূষিত সীমিত যোগাযোগের এই এলাকায় অনেক সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন কোন শক্তিশালী পক্ষ তাদের ঘর-বাড়িতে হামলা করে নিজেদের ফায়দা লুঠে অন্যের উপর দোষ চাপাতে পারে এমন খবরও ঘোরপাক খাচ্ছে মানুষের কানে কানে। সাধারণ ভোটারদের দাবী, এ অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি মানুষের জান-মাল রক্ষাসহ ভোট কেন্দ্র “পাহারা ও রক্ষায়” এগিয়ে আসেন তবে নির্ভিগ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে ভোটাররা। স্থানীয় হিন্দু, বৌদ্ধ খৃষ্টান পরিষদের কিছু ব্যক্তি এমন কান কথার উল্লেখ করে তাদের ভীতির কথা প্রকাশ করেন। তাদের নাম বলতে তারা একেবারেই অনিচ্ছুক।
মৌলভীবাজার-৩ আসনে মহাজোট মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পুরোদমে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নেতা-কর্মীদের নিয়ে। অন্যদিকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা বিএনপি সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনিত প্রার্থী সাবেক সাংসদ এম নাসের রহমানকে খোলামেলাভাবে সভা-সমাবেশে দেখা যায়নি। তাদের অভিযোগ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারি দল পুলিশী অভিযান চালিয়ে তাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারসহ বাড়ি ছাড়া করছে। এছাড়াও এ আসনে ছোটদল ও স্বতন্ত্রসহ আরো একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।