মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। প্রতিমাতূল্য আঁকাশচুম্বী দালান হবে বাংলাদেশে। এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দরকষাকষি চলছে। ভবনটি হবে ১৪২তলা। যদি দালানটি নির্মিত হয় তা’হলে এটি হবে বিশ্বের দ্বিতীয় এবং দক্ষিন এশিয়ায় সর্বোচ্চ আকাশছোঁয়া দালান।
বাংলাদেশে এমন একটি আকাশ ছোঁয়া দালান নির্মাণের প্রথম কল্পনা এসেছিল আমেরিকার পিণ্ডীভুত গোলাকৃতির কেপিসি গ্রুপস অব কোম্পানীজ থেকে। প্রস্তাবনা আসার পর বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবনাটি হাতে নেয়। জানা গেছে আরো অন্ততঃ ২৭টি আঁকাশছোঁয়া দালানের মধ্যমণি হবে এ দালানটি।
বিশ্বের অন্যতম নির্মাণ কোম্পানী “কাজিমা করপোরেশন” পরিকল্পনার প্রস্তাবনা নিয়ে আসে। তারা গগনচুম্বী এই দালান নির্মাণের খরচ ধরে আমেরিকান ডলারে ১.২ বিলিয়ন ডলার। এবং এ দালান নির্মাণের পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরে ১৭.১৩ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার। বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শক বিভাগ এবং বাংলাদেশ সরকারের রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেপিটাল ডেভেলাপমেন্ট অথোরিটি) আকাশচুম্বী দালান প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে।
জানাগেছে এটির নাম ঠিক করা হয়েছে “সেরা আঁকাশচুম্বী খাড়া দালান” বা “Iconic Tower Grand”। উইকিপিডিয়া লিখেছে, যদি(?) দালানটি নির্মিত হয় তাহলে এটি হবে দুনিয়ার সেরা আঁকাশচুম্বী দালানের দ্বিতীয়টি। উইকিপিডিয়া ‘যদি’ শব্দটি ব্যবহার করে কেনো সন্দেহ প্রকাশ করেছে তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে হতে পারে বিষয়টি এখনও পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে, এসব বড় বড় প্রকল্পের নামে কিছু কিছু অসাধু লোক দেশে-বিদেশে ফ্লাট বিক্রির নামে বিদেশের মাটিতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে প্রায়ই ঠকাতে শুনা যায়।
প্রথম পরিকল্পনা আসে আমেরিকা থেকে। পরে অর্থ বিনিয়োগের প্রস্তাবনা আসে জাপানী কোম্পানী থেকে। সে অর্থ লগ্নী যেখান থেকে যে শর্তেই আসুক, আমরা চাই এসব মহা পরিকল্পনার ফাঁকে সাধারণ কর্মজীবী মানুষ যেনো ঠগদের খপ্পরে না পড়ে। এদিকে সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।