“বাংলাদেশ ব্যাংককে সন্তানের মতো মনে করেছি। আমি চেষ্টা করেছি নিজের মতো করে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আমি একজন খনি শ্রমিকের মতো তিলে তিলে ব্যাংকিং খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছি। তারপরও যদি কোনও ভুল করে থাকি তাহলে, আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।”
উপরোক্ত কথাগুলো বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর ডা. আতিউর রহমানের। তিনি স্বজ্জ্বন লোক তাই বলেছেন- ”আমি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেও বরাবরের মতোই সবার সাথেই আছি এবং থাকবো।”
ডা. আতিউরের স্বেচ্ছা পদত্যাগ দেশের প্রসাশন ও রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করলো। পদত্যাগের এ ঘটনা একদিকে যেমন দেশের শাসন ব্যবস্থার একটি ইতিবাচক অবস্থার ইংগিত পাশাপাশি একটু দুঃখদায়কও বটে। আমাদের দেশে, এ ধরনের উচ্চ পদ থেকে সরে আসার নজির ডুমুরের ফুলের মতই দুষ্প্রাপ্য। দৃষ্টান্তস্থাপনকারী অপকর্মের পরও দেশ শাসনের উচ্চ পদে আসীনদের ক্ষমতায় টিকে থাকার কসরত এ দেশের মানুষের সামনে নিয়তই ঘটছে। ডা. আতিউরের মুখেই আমরা শুনেছি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমাদের দেশে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের এমন সংস্কৃতি আজো গড়ে উঠেনি। অতএব, নতুন করে বলার কোন প্রয়োজনই নেই।
দুঃখদায়ক এজন্যই যে বিভিন্ন অর্থ কেলেঙ্কারীর দায়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনা ডা. আতিউরের মত সত ও স্বজ্জ্বন দেশপ্রেমিক ব্যক্তির সেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
আমাদের শুধু একটিই আশংকা যে আমাদের ব্যাঙ্কি খাতকে ধীরে ধীরে বিকলাঙ্গ করে রাখার এটি কোন অশুভ শক্তির পরিকল্পিত কাজ নয়তো?