আব্দুল ওয়াদুদ, মৌলভীবাজার।। মৌলভীবাজারে রাস্তা থেকে তুলে যুবক খুন-এর ঘটনায় বহুল আলোচিত সেই পীরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার মৌলভীবাজার মডেল থানায় নিহত রাজন আহমদ রাজা’র স্ত্রী সাকী বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় পীর আজাদকে প্রধান করে মোট ২১ জনকে আসামী করা হয়েছে। এদিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় পীর আজাদ’র বোন মনিকে আটক করেছে পুলিশ। মনি বেগম ওই মামলার এজহারভুক্ত আসামী।
এদিকে এ খুনের ঘটনায় জেলা জুড়ে সবার মুখে মুখে ছিল পীর আজাদ ও তার সন্ত্রাসী গ্রুপের নানা অপকর্ম ও খুনের ঘটনা নিয়ে আলাপচারিতা। তাদের এমন দুঃসাহষিক “কিলিং মিশন” কর্মকান্ডে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রতিবাদ জানিয়ে কঠোর বিচার দাবী করেছেন অনেকে। এদিকে এ লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। নিহতের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী খুনির-বাড়ি ভাংতে চাইলে পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘাতককে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে তারা বিরত থাকেন।
উল্যেখ্য, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হিলালপুর এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ৩২ বছর বয়সী রাজন আহমদ রাজা নামের ওই যুবককে রাস্থা থেকে ধরে বাড়িতে নিয়ে কুপিয়ে-কুপিয়ে হত্যার করে পীর আজাদ ও তার সহযোগীরা। ঘটনাটি ঘটে গেল মঙ্গলবার। ওই দিন সকাল নটার দিকে উঠতি সন্ত্রাসী গ্রুপ পীর বাহিনীর প্রধান নামে পরিচিত পীর আজাদ পার্শ্ববর্তী বালিকান্দি খেয়াঘাট থেকে রাজনকে অপহরণ করে হিলালপুরস্থ পীর আজাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। এ সময় পীর আজাদ ও তার সহযোগীরা ধারালো আস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে হতভাগা রাজনকে। হত্যার পর একটি অটো রিক্সায় রাজনের মরদেহ তোলে মৌলভীবাজার সদর হাসপালে পাঠিয়ে পীর আজাদ বাড়ি তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
আরো জানা যায়, পীর আজাদের ছোট ভাই রুবেলকে হত্যা করে প্রাণ নাশ করা হয়। এ হত্যার এজহারভুক্ত ৪নং আসামী নিহত ওই রাজন। রাজন এ মামলায় বর্তমানে জামিনে আছে। নিহত রাজন সদর উপজেলার বুদ্ধিমন্তপুর এলাকার আশিক মিয়ার ছেলে। ময়না তদন্তের পর মঙ্গলবার রাজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্থান্তর করে পুলিশ। পরবর্তীতে জানাযা শেষে বুদ্ধিমন্তপুর গ্রামে তাকে দাফন করা হয়। মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ওই হত্যা মামলার আসামী মনি বেগমকে বৃহস্পতিবার আটক করা হয়েছে। মনি হিলালপুর গ্রামের শহিদ উল্ল্যাহর মেয়ে। ওসি আরো বলেন, সবাই মিলে ওইদিন বাড়িতে রাজনকে হত্যা করেছো তো, তাই ওর বোনকে আটক করা হয়েছে।