মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। বৃটেন সরকার তার নাগরীকদের ভ্রমণের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করেছেন। সকল বৃটিশ নাগরীককে অহেতুক পরদেশভ্রমণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। সব দেশ না হলেও অনেক দেশই বৃটিশ নাগরীকদের বা ভ্রমণকারীদের তাদের দেশে প্রবেশের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। ফলে ভ্রমণ ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। অনেক দেশে বৃটিশ ভ্রমণকারীদের খোলামেলা ঘোরাঘুরির সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের ঘরবন্ধী অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ ‘ফ্লাইট’ ব্যবহার করে নাগরীকদের নিরাপদ স্থানে আনতে হচ্ছে। একমাত্র দেশ কিউবা এখনও কোন বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। তবে বিদেশী ভ্রমণকারীদের খুবই নজরে রাখা হয়।
এ পর্যন্ত বৃটেনে করোনা ভাইরাসে ১০৪জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২,৬৪২জনকে আক্রান্ত নির্ণয় করা হয়েছে।
বর্তমান করোনা ভাইরাস বিস্তার অবস্থার পটভূমিকায় যেসব দেশে করা যাবে বা যাবে না সেসবের প্রধান প্রধান দেশ হলো-
অস্ট্রেলিয়া- যেকোন ভ্রমণকারীকে সেদেশে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে ১৪দিনের জন্য জনবিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে হবে।
বেলজিয়াম- স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁ, হোটেল-বার, নাইটক্লাবসকল ও দোকান-পাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বুলগেরিয়া- একই অবস্থা
কেনাডা- আমেরিকার নাগরীক ছাড়া আর সকল দেশের নাগরীকদের আগমন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কিউবা- এখনও কোন বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। তবে বিদেশী ভ্রমণকারীদের খুবই নজরে রাখা হয়।
চেক রিপাব্লিক- সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ডেনমার্ক- ভ্রমণকারীদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে বৃটিশ নাগরীকদের সেদেশে প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।
মিশর- স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ আকাশপথ পুরো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বড় বড় জমায়েত নিষিদ্ধ। সকল দর্শনীয় স্থান ২সপ্তাহের জন্য তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ফিনল্যাণ্ড- সীমান্ত বন্ধ। ভ্রমণকারীদের আগমনের পরই ১৪দিন নিজঘরে বন্ধী অবস্থায় থাকতে নির্দেশ।
ফ্রান্স- সবকিছু ৩০দিনের জন্য বন্ধ। কেবলমাত্র জরুরী সরকারী যানবাহন যোগাযোগ ছাড়া অন্য সবকিছু বন্ধ।
জার্মেনী- জমায়েতসহ সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যাণ্ড, লুক্সেমবার্গ এবং ডেনমার্ক সীমান্তে যাত্রী পরীক্ষার মাত্রা অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
গ্রীস- ভ্রমণকারীদের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। তবে প্রত্যেক ভ্রমণকারীকে নিজ থেকে ১৪দিন গৃহবন্ধী হয়ে থাকতে হবেই।
হাঙ্গেরী- সীমান্ত বন্ধ। যদিও বিমান চলাচল এখনও করছে। তবে সব ধরনের জমায়েত বিশেষকরে ঘরের ভেতর ১০০জন কিংবা বাহিরে ৫০০জনের সমাবেশ পুরোপুরি বন্ধ।
হংকং- প্রবেশে কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। তবে প্রবেশকারীকে ১৪দিন পরীক্ষামূলক অবস্থানে থাকতে হবে এবং প্রতি রাত্রের জন্য ২০পাউণ্ড খরচ দিতে হবে।
ভারত- বৃটেন থেকে সকল আগমন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া- বৃটিশদের আগমনে ২০মার্চ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। আগমনের পর ১৪দিন নিজ উদ্যোগে ঘরে কাটাতে হবে।
আয়ারল্যাণ্ড- স্কুল-কলেজ বন্ধ। জনসমাবেশ নিষিদ্ধ। দেশে আগমনকারী সকলকেই ১৪দিন ঘুরা-ফেরা থেকে বিরত থাকতে বিশেষ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ইসরায়েল- ভ্রমণকারীর আগমনের সাথে সাথে ১৪দিনের জন্য আটক রাখার ব্যবস্থা। কোন হোটেলে থাকতে পারবেন না। ঔষধ ও খাবারের জন্য ছাড়া সকল চলাচল বন্ধ।
বিরান ন্যাপোল শহর, ইটালী। |
ইটালি- সবকিছু পুরোপুরি বন্ধ। করোনা ভাইরাসে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ।
জাপান- ভ্রমণকারীদের উপর এখনও কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। তবে স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
জর্ডান- রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। আকাশ সীমান্ত ও স্থলসীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কেনিয়া- বৃটিশ নাগরীকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আগামী ৩০দিনের জন্য সকলের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়া- বৃটিশ আগমনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
মেক্সিকো- স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সমাবেশ বন্ধ। যদিও দেশে প্রবেশের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি।
মরোক্ক- ইউকে ও মরোক্কর মধ্যে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্পেন ও জিব্রাল্টারের সাথে ফেরি যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নেদারল্যাণ্ড- বিদেশী বা দেশী কারো প্রবেশের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি কিন্তু সুরিখানা(মদের দোকান) ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
নিউজিল্যাণ্ড- ‘ক্রুইজ’ জাহাজে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। দেশে প্রবেশে কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। প্রবেশকারীদের নিজ উদ্যোগে ১৪দিন একাকী ঘরে থাকতে হবে। বের হতে পারবেন না।
নরওয়ে- বৃটিশদের উপর সে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সীমান্ত বন্ধ। ভ্রমণকারীদের স্বউদ্যোগে ১৪দিন একাকী বন্ধীদশায় থাকতে হবে।
নীরব ফ্রান্স। | স্বাস্থ্য নিবাস, পার্তুগাল। |