প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ।। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বসতঘর ও দোকানঘর। ক্ষতি হয়েছে ১০ লাখ টাকার। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ধলাইরপার গ্রামে আকস্মিক সৃষ্ট এ অগ্নিকান্ডে দুটি ঘর পুড়ে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় ধলাইরপার গ্রামে আলফু মিয়ার বাড়ির মোদীর দোকানে এ অগ্নিকান্ড ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত আলফু মিয়া জানান, তার ঘরের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুন লেগে দোকান ও বসতঘরসহ দুটি ঘর সম্পূর্ণরুপে পুড়ে গেছে। আগুনে দোকানের সব সামগ্রী ও বসতঘরের সব সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে তার ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল এসে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় এক ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নেভায়।
ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক, মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু, ইউপি সদস্য মোতাহের আলী, ভানুগাছ পৌর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. মো. সানোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায় আলফু মিয়ার বাঁচার স্বপ্ন। কান্নাজড়িত কন্ঠে আলুফ মিয়া জানান, প্রথমে তার মেয়ে আগুন বলে চিৎকার করলে তিনি ঘর থেকে বাহিরে এসে বৈদ্যুতিক মিটারের কাছে আগুন দেখতে পান এবং চিৎকার করলে এলাকার লোকজন আসেন। তার সামনে দোকান ও পিছনে বসতঘর একি সাথে হওয়ায় বাড়ির আসবাবপত্রসহ অন্যান্য সব কিছু পুড়ে যায়। কিছুই রক্ষা করতে পারেন নি। দোকানে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকার মালামাল ছিল। ধারণা করা হয় অনুমানিক মোট ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০ লক্ষ টাকা হবে। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, তিনি এনজিও থেকে তিন লক্ষ টাকা ঋন নিয়ে দোকানে মালামাল তুলেছেন। এখন কিভাবে এ ঋণ পরিশোধ করবেন।
কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার ফরিদ মিয়া বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ৭ জন কর্মী ও এলাকার লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি।
অগ্নিকান্ডের ঘটনা সরেজমিন পরিদর্শন করে কমলগঞ্জ ইউএনও আশেকুল হক অগ্নিকান্ডে নি:স্ব হওয়া পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে গৃহ নির্ম্মাণ করে দেওয়াসহ ব্যক্তিগত ও সরকারি সব ধরণের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।