দেওয়ান ফয়সল
(দেওয়ান ফয়সল একজন লেখক ও গবেষক এবং সাংবাদিক)
গত সপ্তাহে বেড়াতে গিয়েছিলাম কার্ডিফ শহরে। আমার ডে অফের দিন প্রায়ই কার্ডিফ যাই। সেখানে গেলে সাধারণত: ওয়েলসের প্রথম সাংবাদিক ও কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ মকিস মনসুর ভাই, ওয়েলস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক ভাই অথবা কাউন্সিলার আলী আহমদ ভাইয়ের সাথে দেখা হয়। তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করি। এভাবেই ডে অফ’টা কাটিয়ে দেই, সেই ফাঁকে অনেক কিছু জানাও হয়ে যায়, যা আমার লেখাতে বিশেষ সহায়ক হয়। যাই হোক, গত সপ্তাহে যখন কার্ডিফ গেলাম, তখন মকিস ভাইকে ফোন করলাম, তিনি তখন বাসায়। ফোন ধরেই বললেন, বাসায় চলে আসেন, আমি বাসায় আছি, অনেক আলাপ আছে। কিছুটা ইসস্তত: করছিলাম বাসায় যাবো কি না, কিন্তু না গিয়ে আর পারলাম না, নাছোর বান্দা। শেষ পর্য্যন্ত গেলাম। সিটিং রুমে বসে চা-নাস্তা খাচ্ছিলাম এমন সময় চোখে পড়লো, অনেকগুলো বইয়ের মধ্যে “হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু” নামক একটি স্মারকগ্রন্থ। জিজ্ঞাসা করলাম ঐ ম্যাগাজিনটা কিসের। সাথে সাথে তিনি আমার হাতে এনে দিয়ে বললেন, এই ম্যাগাজিনটি ওয়েলস এ প্রকাশিত প্রথম ম্যাগাজিন। উৎসাহিত হয়ে প্রথম থেকে শেষ পাতা পর্য্যন্ত উল্টিয়ে দেখলাম। পড়তে বেশ ভালোই লাগলো। আমার উৎসাহ দেখে মকিস মনসুর একটি ব্যাগের মধ্যে ভরে আমার হাতে দিয়ে বললেন,ঘরে নিয়ে যান বাসায় বসে বসে পড়বেন।
সেদিন আমার রুমে বসে বসে যখন এই স্মারক গ্রন্থটি পড়ছিলাম, চোখের সামনে ভেসে উঠছিলো অতীতের অনেক স্মৃতি। এই স্মারক গ্রন্থটিতে লিপিবন্ধ হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন পরিচয়, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন সময়ের মুল্যবান ছবি, ৭ইমার্চ ১৯৭১ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণ, ঐতিহাসিক ছয় দফা, স্বাধীনতার ঘোষণা, মুজিব নগর সরকার, বাংলাদেশ ও ভারতের মিত্র বাহিনীর নিকট পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পন সহ ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত হওয়ার বিস্তারিত বিবরণ।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো, রেডিওতে প্রচারিত সেই ভাষণ, বঙ্গন্ধুর সেই বজ্রকন্ঠ যেন আজও আমার কানে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে- “ভায়েরা আমার,
আজ দু:খ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবাই জানেন এবং বোঝেন। আমারা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করছি। কিন্তু দু:খের বিষয় আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম ,খুলনা, রাজশাহী রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংল্রা মানুষ মুক্তি চায়। বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ অধিকার চায়।
কি অন্যায় আমরা করেছিলাম? নির্বাচনের পরে দেশের মানুষ সম্পূর্ণ ভাবে আমাকে, আওয়ামী লীগকে ভোট দেন। আমাদের ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলী বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈরী করবো এবং এদেশকে আমরা গড়ে তুলবো, এদেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে। কিন্তুু দু:খের বিষয়ে, আজ দু:খের সঙ্গে বলতে হয়, ২৩ বছরের করুন ইতিহাস বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। ২৩ বছরের ইতিহাস, মুমূর্ষ নরনারীর আর্তনাদের ইতিহাস। বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল ল জারী করে দশ বছর পর্য্যন্ত আমাদের গোলাম করে রেখেছিলো।”
১৯৬৬ সালে পাকিস্তানের শাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে যখন ৬ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারা দেশ যখন আন্দোলনে উত্তপ্ত, আমাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে দেশের মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছে তখন পাকিস্তানী শাসক আইয়ুব খান হিমসিম খেয়ে গেলেন। তুমুল সংগ্রাম চলছিলো, তখন পাক সেনারা ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালিয়ে অসংখ্য ছাত্রকে হত্যা করে সেই সঙ্গে হত্যা করে সংগ্রামী সাধারণ জানতাকেও। তখন একটি শ্লোগানই ছিলো-আমাদের দাবি মানতে হবে, নইলে গদি ছাড়তে হবে। শেষ পর্য্যন্ত ১৯৬৯ সালে উপায়ান্ত না দেখে আইয়ুব খান রাঁতে আধারে পশ্চিম পাকিস্তান পালিয়ে যান। তাঁর জায়গায় পূর্ব পাকিস্তানে পাঠানো হয় ইয়াহিয়া খানকে। এহিয়া খান আবার বঙ্গবন্ধুর সাথে ১০ তারিখে গোল টেবিলে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সোজাসুজি বলে দিয়েছিলেন, ” আমি তো অনেক আগেই বলেছি কিসের কিসের গোলটেবিল বৈঠক? কার সাথে বসবো? যারা আমার মানুষের রক্ত নিয়েছে তাদের সঙ্গে বসবো? বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে আরও বলেন,
ভাইয়েরা আমার,
পঁচিশ তারিখে এসেম্বলী কল করেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি দশ তারিখে বলে দিয়েছি যে, ঐ শহীদের রক্তের উপর দিয়ে পাড়া দিয়ে আর রাউন্ড টেবিল কনফারেন্সে মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারেনা। এসেম্বলী কল করেছেন আমার দাবী মানতে হবে প্রথম। সামরিক আইন উইথড্র করতে হবে। সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নিদে হবে। যে ভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে। তারপরে ক্ষমতা জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। তারপর বিবেচনা করে দেখবো আমরা এসম্বলীতে বসতে পারবো কি পারবো না। আমি , আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা। আমরা এদেশের মানুষের অধিকার চাই।
আমি পরিস্কার ভাবে বলে দেবার চাই যে, আজ থেকে বাংলাদেশে কোর্ট-কাচারী, আদালত, ফৌজদারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। গরীবের যাতে কষ্ট না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে, সে জন্য অন্যান্য যে সমস্ত জিনিষগুলো আছে সে গুলোর হরতাল কাল থেকে চলবেনা। রিকশা, ঘোড়ার গাড়ি চলবে, লঞ্চ চলবে, শুধু সেক্রেটারীয়েট, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট, সেমি দফতরগুলো, ওয়াপদা কোন কিছু চলবেনা। ২৮ তারিখে কর্মচারীরা গিয়ে বেতন নিয়ে আসবেন। এর পরে যদি বেতন না দেয়া হয়, আর যদি একটি গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়, তোমাদের ্উপর আমার অনুরোধ রইলো, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সব কিছু আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। ………….এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম , জয় বাংলা।
”সংক্ষেপে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কিছু অংশ তুলে ধরলাম্। এই ভাষণই ছিলো বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা। যেসব কুচক্রিমহল স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে আপ্রচার করে, তাদেরকে বলবো, বাংলাদেশ জন্মের সত্যিকারের ইতিহাস পড়–ন এবং জ্ঞান আহরণ করুন। যাদের জন্ম স্বাধীনতার সময় থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে, এসব যুবকদেরই এসব কুচক্রিমহল বিকৃত ইতিহাস তাদের মগজে ঢুকিয়ে দিয়ে পথভ্রষ্ট করে চলেছে। এদেরকে সত্যিকারের পথ দেখানো আমাদের সকলের কর্তব্য। সত্যিকারের ইতিহাস যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারে, সেজন্য বাস্তব পদক্ষেপ যেমন ইতিহসবিদদের নিতে হবে,তেমনি নিতে হবে সরকারকেও।
আমি আজ রাজনৈতিক কলাম লিখছিনা, লিখছি “হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু” স্মারক গ্রন্থের কথা। এই স্বারক গ্রন্থে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের হত্যাকান্ডের সময় পর্য্যন্ত বিভিন্ন ক্ষুরধার লেখক এবং সাংবাদিকদের লেখায় সত্যিকারের যে ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জানা অত্যন্ত জরুরী। তাই আমি মনে করি এই স্মারক গ্রন্থটি বেশি করে ছাপিয়ে প্রত্যেকটি বাংলা স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ অর্থাৎ বাঙালী অধ্যুষিত প্রত্যেকটি কেন্দ্রে রাখা দরকার এবং সেগুলো পড়ে ছাত্রদের বোঝানোর দরকার। এই দায়িত্বটি নিতে হবে স্মারক গ্রন্থের প্রকাশক এবং তার সহযোগিতা দানকারীদের।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগ ওয়েলস শাখার সম্মেলন ২০০৬ উপলক্ষ্যে “হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু” এই স্মারক গ্রন্থটি প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যস্থ ওয়েলস আওয়ামী যুবলীগ। প্রকাশিত হয় ২রা এপ্রিল ২০০৬ সালে। মুদ্রণে : পাতাকুঁড়ি কম্পিউটার এন্ড অফসেট প্রিন্টার্স, রাবেয়া ম্যানসন, সিলেট রোড মৌলভী বাজার। গ্রাফিক্স ডিজাইন করেন কে এ রহিম সাবলু।
বইটির সম্পাদনা পরিষদে ছিলেন সর্বজনাব ইকবাল আহমদ (প্রচার সম্পাদক, ওযেলস যুবলীগ), এস আই চৌধুরী বাবলু (সদস, যুক্তরাজ্য যুবলীগ) ও সৈয়দ ইকবাল আহমদ (সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ওয়েলস শাখা)
বইটি প্রকাশের সময় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে অভিনন্দন জানিয়ে যারা বিশেষ বাণী যারা প্রদান করেছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন -সে সময়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও সভানেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাহাঙ্গীর কবির নানক (সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ), মির্জা আজম এমপি (সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ), যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শামসুদ্দিন খান, অধ্যাপক আবুল হাসেম –সাধারণ সম্পাদক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, মো: ফিরোজ-(প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ওয়েলস আওয়ামী লীগ), মো: ছুরুক মিয়া (সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি , ওয়েলস আওয়ামী লীগ), আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সভাপতি যুক্তরাজ্য যুবলীগ ও কেন্দ্রীয় সসদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, তারিফ আহমদ-সাধারণ সম্পাদক যুক্তরাজ্য যুবলীগ ও সদস্য যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, আলহাজ্ব মো;রেনু মিয়া-সাবেক সেক্রেটারী ওয়েলস আওয়ামী লীগ, শাহাব উদ্দিন আহমদ বাচ্চু-সাবেক সেক্রেটারী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ওয়েলস শাখা, মো: আনোয়ার খান-সাবেক সেক্রেটারী ওয়েলস আওয়ামী লীগ, আলহাজ্ব শফিকুর রহমান সভাপতি-যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ওয়েলস শাখা এবং আলহাজ্ব এম কে আহমদ ফারুক জেপি-সাধারণ সম্পটাদক যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ওয়েলস শাখা। আরও রয়েছে ওয়েলস যুবলীগের সভাপতি মনসুর আহমদ মকিস (সহ সভাপতি ওয়েলস আওয়ামী যুবলীগ, সহ সভাপতি যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগ, কেন্দ্রীয় সদস্য যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, সমাজসেবা সম্পদক কেন্দ্রীয় কমিটি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক-মৌলভী কাজার জেলা জাতীয় ছাত্রলীগ) এর শুভেচ্ছা বাণী। আরও রয়েছে ওয়েলস যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: লিয়াকত আলীর শুভেচ্ছা বক্তব্য। সম্পাদনা পরিষদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন বার্তা দিযেছেন ইকবাল আহমদ (প্রচার সম্পাদক, ওয়েলস যুবলীগ), এস আই চৌধুরী বাবলু (সদস্য যুক্তরাজ্য যুবলীগ) ও সৈয়দ ইকবাল আহমদ ( সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু পরিষদ ওয়েলস শাখা)।
এছাড়াও স্থানীয় নেতবৃন্দের মধ্যে যারা “হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু” প্রকাশনাকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন সর্বজনাব সৈয়দ আছিয়াদ আলী (সহ সভাপতি ওয়েলস আওয়ামী লীগ ও সভাপতি ব্রিজেন্ড আওয়ামী লীগ) , আসিকুর রহমান আসিক (সহ সভাপতি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ওয়েলস শাখা), আলহাজ্ব আব্দুল মালিক (যুগ্ম সম্পাদক ওয়েলস শাখা, সাবেক সভাপতি যুক্তরাজ্য যুবলীগ ওয়েলস শাথা), এম এ গফুর (সাধারণ সম্পাদক-ব্রিজেন্ড আওয়ামী লীগ ওয়েলস), মো: সমছু মিয়া (সাংগঠনিক সম্পাদক-ব্রিজেন্ড আওয়ামী লীগ), আব্দুর রহমান মনা (সহ সভাপতি ব্রিজেন্ড আওয়ামী লীগ ওয়েলস) সহ অন্যান্যরা।
এছাড়াও উ্ক্ত সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো ১০ নং ডাউনিং স্ট্রীট, প্রিন্স অব ওয়েলস এবং প্রিন্সেস অব ওয়েলস এবং! ওয়েলস এসেম্বলীতেও আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়। তবে উক্ত তারিখে সবারই বিভিন্ন জায়গায় তাদের এপয়েন্টমেন্ট থাকায় না আসতে পারায় চিঠির মাধ্যমে দু:খ প্রকাশ করে সম্মেলনের সফলতা কামনা করা হয়্
এই বইটি প্রকাশনার পরিকল্পনা ও সার্বিক দায়িত্বে এবং ব্যবস্থাপনায় ছিলেন তৎকালীন যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহ সভাপতি ওয়েলস যুবলীগের সভাপতি ও মৌলভীবাজার জেলার সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর আহমদ। তিনি প্রায় দু’বছর অক্লান্ত পরিস্রম করেছেন এমনকি এই গ্রন্থের জন্য একমাস বাংলাদেশে অবস্থান করে বইটি ছাপিয়ে এদেশে নিয়ে আসেন। তাকে সহযোগিতা করেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব লিয়াকত আলী। তাদের কষ্টের ফসল মূল্যবান এই ডকুমেন্টারী বইটি হোক আগামী প্রজন্মের জন্য ইতিহাসের খোরাক।
সব শেষে এই মূল্যবান বইটি প্রকাশ করার জন্য যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগ ওয়েলস শাখার সকল নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের প্রতি রইলো আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।