মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। আজ বৃহস্পতিবার চলে গেলো, ১৯ নভেম্বর স্বাধীনতা যুদ্ধের অগ্রসেনানী, সময়ের সহসী পুরুষ জাতীর বীর সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার, স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম গণতান্ত্রিক বিরোধী দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের অন্যতম মেজর এম এ জলিলের ৩১তম মৃত্যু দিবস। |
হে মহাবীর গভীর শ্রদ্ধায় জানাই তোমায় লাল সালাম |
১৯৪২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বরিশাল জেলার উজিরপুরে জলিলেরর জন্ম। বাবার নাম জোনাব আলি চৌধুরী আর মা ছিলেন রাবেয়া খাতুন। জলিল উজিরপুর থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে আইএ পড়তে ভর্তি হন পাকিস্তানের মারি ইয়ং ক্যাডেট ইনস্টিটিউশন এ। আইএ পাশ করে ১৯৬২ সালে পাকিস্তান আর্মিতে যোগ দেন প্রশিক্ষনরত অফিসার হিসেবে। ১৯৬৫ সালে কমিশন লাভ করে অংশ নেন ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান –ভারত যুদ্ধে। ১৯৭০ সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হন। এর পরের ইতিহাস অনেকেরই জানা আছে। মেজর জলিল হয়ে উঠেন বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন বহুল আলোচিত চরিত্র। শুধু জলিল হিসেবে তাকে খুব কম লোকেই চেনে। তিনি সুপরিচিত হয়ে উঠেন মেজর জলিল নামে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নামের সাথে স্থায়ীভাবে লেগে যায় সামরিক মেজর পদবীটি। মানুষ, মোহাম্মদ আব্দুল জলিল কে এক নামে চিনে সে নাম হলো- মেজর জলিল। |
রাজনৈতিক নেতা মেজর জলিলের পরিচয় বৃত্তান্ত খুঁজে যা পাওয়া যায় তাতে দেখা যায় তিনি ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অসুস্থ মাকে দেখতে পাকিস্তান থেকে ছুটি নিয়ে নিজের বাড়িতে এসেছিলেন। ছুটি যখন শেষ হয়ে গেল, সারাদেশ তখন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। তিনি ফিরতে পারছিলেন না, বিলম্ব হচ্ছিলো। এমন অবস্থায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী আক্রমন করে বসে গোটা দেশের নিরীহ মানুষের উপর। সামরিক বাহিনীর এমন বর্বরোচিত আচরণ জলিলকে আরো দশজনের মত ক্রোধান্বিত করে তুলে। স্থির সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে মুক্ত করতে পাকিস্তান বাহিনী ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ের মুক্তিযুদ্ধে। মুজিব নগর সরকার গঠনের পর মেজর জলিলকে দেয়া হয় খুলনা, বরিশাল অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৯ নম্বর সেক্টরের অধিনায়কের দায়ীত্ব। এর পরের ইতিহাস খুবই রক্তমাখা। শুরু হয় তার নতুন এক যুদ্ধ। বিজয়ের পর ভারতীয় বাহিনীর কিছু কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় গ্রেফতার। অবশ্য কোর্ট মার্শালের বিচারে মুক্ত হয়েছিলেন। |