মুক্তকথা সংগ্রহ॥ ডাইনোসারের আগেও ভেড়া বা মেড়া এ পৃথিবীতে ছিল। বহু আগের এক প্রাপ্তি। ফঁসিল খুঁজে ঘুরে যারা তারাই এমন কথা বলেছিলেন। একটি মাথার খুলি পেয়ে তার সব ধরনের খবরাখবর নিয়ে গবেষকগন তাদের অভিমত দিয়েছিলেন এই বলে যে, ডাইনোসারের আগেও ভেড়ার মত স্তন্যপায়ী জীব এ পৃথিবীতে ছিল। তাদের প্রাপ্ত মাথার খুলি বর্তমানের স্তন্যপায়ী ভেড়ার মাথার খুলির অনুরূপ। প্রায় ২কোটি ৫০লাখ বছর আগের বলে তাদের অনুমান। পশুর মাথার এই খুলিটি পাওয়া গিয়েছিল দক্ষিন আফ্রিকার অভ্যন্তরে সাগরময় একটি এলাকায়। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আফ্রিকার এই ‘এনোমোসফালুস’ জীব, আকারের দিক থেকে ভেড়ার সাথে মিল ছিল বলে গবেষকদের ধারনা। তবে ভেড়ার চেয়ে কম বুদ্ধিমান ছিল। মনে করা হয় যে, এই প্রাণীটি ডাইনোসারের কয়েক লক্ষ বছর আগে বসবাস করতো। এমন ধারণার কারণ তাদের দাঁত। দাঁতের সাথে বর্তমান সময়ের ভেড়ার মিল খুব বেশী। মানবেতিহাসে এদের ‘থিরাপসিড’স বলে ডাকা হয়। এই থিরাপসিড প্রাণীকূলদের ‘পারমিয়ান’ যুগেই উত্থান ঘটে এবং অনুমান ১কোটি ৮০লাখ বছর পর জুরাসিক যমানায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই প্রাণীকূল মূলতঃ বর্তমান রাশিয়া অঞ্চলে গড়ে উঠে বলেই এতোদিন মনে করা হতো কিন্তু দক্ষিন আফ্রিকায় ‘থেরাপসিড’ প্রাণীর মাথার খুলি পাওয়ার পর এখন বিজ্ঞানীদের নতুন করে ভাবতে হবে, ধীরে ধীরে গড়ে উঠার কাজে দক্ষিন আফ্রিকার ভূমিকা নিয়ে। ১৯৯৯সালে দক্ষিন আফ্রিকার গন্দওয়ানা অঞ্চলে পাওয়া ওই পশুর মাথার খুলি পরীক্ষা করে জোহান্সবার্গের হুইটওয়াটারসরেন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ব্রুস রুবিজ বলেছিলেন এ মাথার খুলি পরীক্ষা থেকে বুঝা যাবে, প্রাণীর রূপান্তরে দক্ষিণ আফ্রিকার এ অঞ্চল একটি বিশেষ ভূমি হিসেবে কাজ করেছিল। |