মৌলভীবাজার প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজারে এক কিশোরী শিক্ষার্থীর বিয়ে আটকে দিয়েছে পুলিশ। মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হকের নেতৃত্বে ও শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির তত্বাবধানে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা হয়। গেল বৃহস্পতিবার ৩ ডিসেম্বর আজাদ বখত স্কুল এন্ড কলেজ এর এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৬ বছর বয়সী মেয়ের সাথে রাজনগর উপজেলার কদমহাটা গ্রামের ফজলু মিয়ার পুত্র হেলাল মিয়া(২৮)এর বাল্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার দিন ধার্য্য ছিল।
পুলিশ জানায়, ভিকটিমের এক বান্ধবীর মাধ্যমে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে বাড়িতে আলোকসজ্জা ও অন্যান্য অয়োজন দেখে বিয়ে বাড়ি হিসেবে সনাক্ত করেন। পরিবারের সাথে কথা হলে বিবাহের কথা স্বীকার করেন এবং মেয়েটিকে দেখে অপ্রাপ্তবয়স্ক মনে হয়। এ সময় জন্মনিবন্ধন ও স্কুলের রেজিষ্ট্রেশন কার্ডের মধ্যে জন্মতারিখ পর্যবেক্ষনে বয়স মাত্র ১৬ বছর ১৪ দিন বলে জানা যায়। বাল্যবিবাহ বাংলাদেশ সরকারের আইন বিরোধী একটি কাজ। পরবর্তীতে মেয়েটির বাবা, মা ও নিকটাত্মীয়রা তাদের ভূলটি বুঝতে পেরে অনুতপ্ত বোধ করেন এবং এই মর্মে লিখিত আবেদন ও ১৮ বছরের আগে তাদের মেয়েকে বিয়ে দিবে না মর্মে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে মুচলেকা প্রদান করেন। ফলে বাল্য বিবাহের এই আয়োজন বন্ধ করা হয়। যেহেতু বাল্য বিবাহ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে নিয়মিত মামলার একটি বড় কারণ, তাই পুলিশ বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কমিউনিটির উদ্যোগের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
|