দুই যুগ ধরে মানবেতর জীবন মার্কিন দূতাবাসের কূটনৈতিক সহায়তা চান ডিভি লটারী ভিসা বিজয়ীরা? |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
হোসাইন আহমদ॥লটারিতে বিজয়ী হওয়ার দুই যুগ পার হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জালিয়াতির কারণে এখনও স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় পা রাখতে পারেননি ডিভি লটারি বিজয়ীরা। কিন্তু ভিসার প্রহর গুনতে গুনতে এ পর্যন্ত অনেকেই মারা গেছেন। অধিকাংশ লটারী বিজয়ীরা জলন্ত অভিসাপের মধ্যে ভিটামাটি বিক্রি করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আবার কেউ কেউ বয়সের ভারে মৃত্যু’র সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। বিষয়টির সমাধান চেয়ে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ঘুরতে ঘুরতে তারা ক্লান্ত। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১৯৯৫ সাল হতে আমেরিকা সরকার, ডিভি লটারী চালু করে বিশ্বের ৫৫টি দেশ থেকে কোটার ভিত্তিতে প্রতি বছর ৫৫ হাজার লোককে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দেয়। তন্মধ্যে বাংলাদেশের কোটায় প্রতিবছর ৩ হাজার ৮’শ ৫০ জন আবেদনকারীর অভিবাসন নিশ্চিত করা হয়। এ আলোকে ১৯৯৫-২০১২ সাল পর্যন্ত মার্কিন অভিবাসন নীতির আলোকে ডিভি লটারীর মাধ্যমে বাংলাদেশী আবেদনকারীদের উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক মানুষের প্রয়োজনীয় পাসপোর্ট, স্পন্সরশীপ ও মেডিকেল টেস্ট ও ভিসা ফি প্রদান করেও কিছু অসাধু দূতাবাস কর্মকর্তার জালিয়াতি, স্থানীয় দালাল চক্রের যোগসাজসে প্রকৃত বিজয়ীদের কাগজপত্রে ছবি বদল করে বড়
|
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আবেদন থেকে আরোও জানা যায়, ভিসা জালিয়াতির সাথে ডাক ও বিমান বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। তারা গড়ে তুলে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র। ওই চক্র বিজয়ীদের নামে আসা চিঠি তাদের হাতে না পৌঁছিয়ে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে অন্য জনের কাছে বিক্রি করত। পরবর্তীতে ডাক সার্ভিসের তৎক্ষালিন পরিচালক সাইদ উদ্দিন মাহমুদকে চেয়ারম্যান ও এপি এমজি নুরুল আমিনকে সদস্য সচিব করে একটি তদন্ত কমিটিও ঘটন করা হয়। কিন্তু ওই তদন্ত কমিটি ১৮ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি। |