মুক্তকথা সংবাদকক্ষ॥ গত ৬ জানুয়ারী বুধবার আমেরিকার কংগ্রেস দপ্তর কেপিটল দালানে উঠার সন্ত্রাসী মারামারিতে মার্কিন পুলিশ বাহিনীর একজন সহ ৫ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং আরও জনা পঞ্চাশেক লোক আহত হয়েছেন বলে সর্বশেষ খবর প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প’এর সমর্থকরা বলপূর্বক কংগ্রেস ভবন ‘কেপিটল’-এ উঠে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। আর তখনই পুলিশের সাথে হাতাহাতি-মারামারিতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ট্রাম্প সমর্থকরা ‘ইলেক্টোরেল কলেজ বেলট’ গণনা বন্ধ রাখতে কেপিটল দালানে প্রবেশ করতে যায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবী নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। তিনি পাশ করেছেন কিন্তু তাকে পরাজিত করানো হয়েছে। তিনি তার এ দাবীতে এখনও অবিচল রয়েছেন।
মৃত ৫জনের মাঝে মার্কিন বিমানবাহিনীর এমএস আসলি বেবিথ নামের একজন মহিলা রয়েছেন। পুলিশের গুলিতে তিনি মারা যান।
এ ঘটনাকে সিএনএন লিখেছে, আমেরিকান গণতন্ত্রের হৃদপিণ্ডে আক্রমণ, বিদ্রোহ এবং ‘ভেণ্ডালিজম’। সিবিএস এবং বৃটেনের ইভিনিং ষ্ট্যাণ্ডার্ড ঘটনাটিকে ‘রায়টিং’ বলে অবিহিত করেছে। ট্রাম্প সমর্থকদের হাতে আহত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইদেন ট্রাম্প সমর্থক প্রতিবাদকারীদের ‘আভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
এদিকে, বিশ্ব গণতন্ত্রের বারোটা বাজিয়ে অবশেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা হস্তান্তরে সন্মত হয়েছেন তবে তিনি তার অভিযোগ থেকে সরে আসেন নি। আগামী ২০ জানুয়ারী জো বাইডেনের অভিষেকে তিনি উপস্থিত থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। ট্রাম্প উপস্থিত থাকবেন না শুনে প্রেসিডেন্ট বাইদেন খুশী হয়েছে।
আমেরিকার দেড়শো বছরের ইতিহাসে পাশকরা প্রেসিডেন্টের অভিষেকে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়ে অনুপস্থিত থাকবেন, এটিই প্রথম ঘটনা।
|