মৌলভীবাজার প্রতিনিধি॥ চার দফা দাবি নিয়ে সারা দেশের ন্যায় মৌলভীবাজারে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাঁধা দিয়েছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। এসময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা বন্ধ করতে বলে ক্যামেরায় হাত দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের চৌমূহনা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০ টায় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌমূহনায় গিয়ে অবস্থান নেয়।
সেখানে তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমসহ ছাত্রলীগ কর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মারপিট করে তাড়িয়ে দেন। এসময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, আমাদের দাবি আদায়ের জন্য। আমরা চৌমূহনা চত্বরে অবস্থান নেই। হটাৎ করে বহিরাগত কয়েকজন অতর্কিত হামলা করে। আমাদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। তারা আমাদের বেশ কয়েকজনকে মারধর করে। আমাদের জুবায়ের আহমদসহ দুইজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে, যে কোনো মূল্যে সেশনজট আটকানো। ২য়, ৪র্থ ও ৬ষ্ঠ পর্বের তাত্ত্বিক বিষয়গুলোতে প্রমোশন দিয়ে প্র্যাক্টিক্যালগুলো পরবর্তী সেমিস্টারের সাথে সংযুক্ত করা।
১ম, ৩য়, ৫ম ও ৭ম পর্বের শর্ট সিলেবাসের মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে দ্রুত পরীক্ষা নেয়া।
ডুয়েটসহ সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা ছাত্রছাত্রীদের জন্য আসন বরাদ্দ করা ।
তাদের দাবিগুলোকে অযৌক্তিক উসকানিমূলক বলায় কারিগরি শিক্ষা সচিব কে প্রেস ব্রিফিং এ এসে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার ভুল স্বীকার করা ।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমের সাথে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘রাস্তা আটকিয়ে কিছু শিক্ষার্থী জনদূর্ভোগ তৈরী করছিল। আমি তাদের বলেছি তোমাদের দাবির সাথে একমত। তোমরা রাস্তা আটকিয়ে সাধারণ মানুষকে দূর্ভোগে ফেলো না। পরে তারা সেখান থেকে চলে যায়।’
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইয়াছিনুল হক বলেন, মারামারি, হাতাহাতি বা ব্যানার ছিনিয়ে নেয়া এরকম কোনো ঘটনা শুনিনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
|